গরিবের মোটা চাল : এক বছরে দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাজারে মোটা চালের দামও গরিব মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া আজকের মূল্যতালিকা অনুসারে গত বছর একই দিন অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি মোটা চালের মূল্য ছিল ৩৩ টাকা থেকে ৩৬ টাকা।

এক বছর পর আজ একই দিন প্রতি কেজি মোটা চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোদ সরকারি টিসিবির তথ্য বলছে, রাজধানীর বাজারে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মোটা চালের দাম এখন ৪৩ শতাংশ বেশি।
আর্থিক অসঙ্গতির কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও গরিব মানুষ এতদিন সস্তা দামের স্বর্ণা/চায়না ইরি প্রজাতির মোটা চালের ওপর নির্ভর করে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও এখন সেটিই দুরূহ হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, ভালো মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি। আর শুধু এক মাসে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেন, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশে ১ কোটি মেট্রিক টন চালের মজুদ রয়েছে। তিনি জানান, দেশের মানুষের প্রতিদিন ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে ১ কোটি মেট্রিক টন চাল খরচ হতে অনেক দিন লাগার কথা। ফলে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো কারণই নেই। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাল নিয়ে চালবাজি চলছে। এর সঙ্গে উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে চাল ব্যবসায়ী, আড়তদার, মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জড়িত। বাজার অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে সাবধান হতে বলেন তিনি।

তবে খাদ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ মানুষ বলেছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকলে দাম বৃদ্ধির দায় মন্ত্রী তথা সরকারকেই নিতে হবে। মন্ত্রীর মুখে হুঁশিয়ারি নয়, তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন অনেকেই।

টিসিবির আজকের তথ্যানুসারে, গত বছরের একই দিনের সঙ্গে চালের মূল্য বিবেচনায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকার প্রতি কেজি সরু চাল আজ ৬০ থেকে ৬৬ টাকা, প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকার সাধারণ মানের নাজির/মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকার ভালোমানের নাজির/মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৬ টাকা, ৪০ থেকে ৪৫ টাকার প্রতি কেজি চাল (মাঝারি) ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। ৪০ থেকে ৪২ টাকা প্রতি কেজি (পাইজাম/লতা) বর্তমানে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়, ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দামের উত্তমমানের (পাইজাম/লতা) ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমইউ/ওআর/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।