রংপুর সিটি নির্বাচনে ব্যয় হবে ৪ কোটি টাকা

সিরাজুজ্জামান
সিরাজুজ্জামান সিরাজুজ্জামান , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে চার কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেখানকার কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যবহার করা হবে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম)।

পুরনো ভোটার তালিকা ধরেই অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রংপুর সিটিতে নির্বাচন হবে বলে ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।

তারা জানান, নভেম্বর-ডিসেম্বরজুড়ে চলে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। এসব বিবেচনায় ইসি ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম সোমবার জাগো নিউজকে বলেন, রসিক নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য আগের ভোটার তালিকা অনুযায়ী সেখানে নির্বাচন হবে। কারণ জানুয়ারির আগে চলমান ভোটার তালিকার কাজ শেষ হবে না। আশা করি ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপসচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে রংপুর সিটির নির্বাচন ডিসেম্বরে করা নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিবস্থায় চলে আসায় ওই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো শঙ্কা নেই। আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন করা যাবে।

ইসির বাজেট শাখা জানায়, ডিসেম্বরে রংপুর সিটিসহ আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটির জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। বিগত নির্বাচনে এসব সিটির জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা। এবার সংশ্লিষ্ট নির্বাচনগুলোর জন্য বরাদ্দ ২৩ কোটি টাকার মধ্যে রংপুর সিটির জন্য সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা।

জানা যায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আর মোট বরাদ্দের সবচেয়ে কম ব্যয় হয় নির্বাচন পরিচালনা খাতে।

নির্বাচন শাখার তথ্য মতে, ঈদুল আজহা গত ২ সেপ্টেম্বর উদযাপন শেষে পুরোদমে শুরু হয়েছে অফিস-আদালত। কমিশনও নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে। নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয়ার কথা ভাবছেন তারা।

তবে দেশব্যাপী চলা হালনাগাদ ভোটাররা আসন্ন সিটির এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।

রংপুর সিটির দু-তিনটি ওয়ার্ডে ব্যবহার করা হবে ডিভিএম (ডিজিটাল ভোটিং মেশিন)। এর আগে চট্টগ্রাম সিটির পর নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটির পাশাপাশি নরসিংদী পৌরসভায়ও এটি ব্যবহার করা হবে।

ডিভিএম ব্যবহার করে কয়েকটি ইউপিতেও নির্বাচন হয়েছিল। তবে প্রতিটি নির্বাচন কম-বেশি ত্রুটি ধরা পড়ে।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বরে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়। আর প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ ২৫-৩১ তারিখের যেকোনো দিন এ নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। নির্বাচনে সম্ভাব্য কেন্দ্র ধরা হয়েছে ১৯৬টি। তবে নবগঠিত এ সিটির প্রথম নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন। এবারের নির্বাচনেও মহিলার তুলনায় পুরুষ ভোটার বেশি।

এইচএস/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।