ভ্যানচালক হাবিব এখন গবাদিপশুর খাবার বিক্রেতা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

রাজধানীর পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ পশুর হাটের অদূরে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশুর খাদ্যসামগ্রী সাজিয়ে বসেছে এক যুবক। একাধিক বস্তায় থরে-থরে সাজানো ধানের খড়, ধানের কুড়া, গম, খেসারি, বুট, ডাবলি ও অ্যাঙ্করের চিকন মোটা ভুষিসহ খাদ্য সামগ্রী শোভা পাচ্ছে। পাশে হরেক রংয়ের ও সাইজের দড়িও সাজিয়ে রেখেছেন তিনি।

বেচাকেনা কেমন জানতে চাইলে ওই যুবক জানান, এখনও পশুর হাটে বেচাকেনা জমেনি। টুকটাক বিক্রি হওয়ায় এখন বেচাকেনা অনেকটা না হওয়ার মতোই হচ্ছে। তবে বুধবার থেকে হাট পুরোদমে জমলে বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।

habib

নাটোরের বাসিন্দা মো. হাবিব জানান, গত দেড় দশক যাবত ঢাকা শহরে আছেন। বছরের অন্য সময়টাতে তিনি ভ্যানগাড়ি চালান। প্রত্যেক ঈদের সময় বিকল্প পেশা হিসেবে গবাদিপশুর খাবার বিক্রি করেন। পুঁজি না থাকায় আরও দুইজন পার্টনার সঙ্গে নিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়েছেন।

বিভিন্ন ধরনের খাবার সামগ্রী যেমন ধানের কুড়া প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গমের ভুষা (চিকন) ৬০ টাকা, গমের ভুষি ৪০ টাকা ও খেসারি ৪০ টাকা বিক্রি করবেন। এছাড়া বুট, ডাবলি ও অ্যাঙ্কর প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু বাঁধার দড়ি প্রতি পিস ৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

ভ্যানচালক হাবিব শুধু একাই নন, তার মতো অনেকেই এখন ঈদকে সামনে রেখে পেশা বদলে গবাদিপশুর খাবার বিক্রিতে নেমেছেন। আর দুই একদিন পরেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের নানা পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যাবে।

এমইউ/ওআর/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।