যাদের রক্তে রঞ্জিত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৭

মহান স্বাধীনতার সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ধ্বংসের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। হামলার ধরন ও ব্যাপকতা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ওইদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েই গ্রেনেড হামলা করে ঘাতকরা।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও ২১ আগস্টের সেই গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ নেতাকর্মী। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ আরও আটজন।

আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।

নারকীয় ওই গ্রেনেড হামলায় নিহত হন মোসতাক আহম্মদ সেন্টু, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), হাসিনা মমতাজ রীনা, রিজিয়া বেগম, রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, লিটন মুন্সী, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন সর্দার, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।

হামলায় গুরুতর আহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য) জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ঢাকার সাবেক মেয়র (প্রয়াত) মোহাম্মদ হানিফ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (প্রয়াত), ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফর উল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা আখতার, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিকসহ পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

আহতদের অনেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে পঙ্গুত্ব নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। অনেকে এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে নিদারুণ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

ওইদিনের গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাম কান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পরও তার শ্রবণশক্তি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা যায়।

এএসএস/এমএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।