জমে উঠেছে শিশুদের ঈদ বাজার


প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ০৯ জুন ২০১৭

ঈদ আর নতুন পোশাককে ঘিরে শিশুদের আনন্দের শেষ থাকে না। ঈদের আনন্দটা বেশি প্রকাশ হয় শিশুদের মাঝে। সেই আনন্দকে ছড়িয়ে দিতে শিশুদের জন্য বাজারে নানা রকমের পোশাক-জুতাসহ নানা সমাহার এনেছে দোকানিরা।

পরিবারের ছোট শিশুটির মুখে হাসি ফোটাতে আগে ভাগেই কেনার পর্ব শেষ করে নিচ্ছেন অভিভাবকরা। তাই ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠেছে শিশুদের কেনাকাটা।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, আড়ং, এলিফ্যান্ট রোড, চাঁদনী চক, গাউছিয়া মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, বনানী, গুলশান, উত্তরার ফ্যাশন হাউসগুলোতে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে দোকানিরা।অন্যদিকে ফুটপাতেও শিশুদের নানা পণ্য সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা।

শিশুদের জন্য প্রচলিত চেক ডিজাইনের টি-শার্টের পাশাপাশি বিভিন্ন রং ডিজাইনের টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে শোরুমগুলোতে। গরমে শিশুদের প্রশান্তির কথা ভেবে গেঞ্জি কাপড়ের টপ, টি-শার্ট, প্যান্ট এনেছে বিভিন্ন ব্যান্ড।মেয়ে শিশুদের জন্য সুতির টু-পিস, থ্রি-পিস, ফ্রকের বড় সংগ্রহ এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।

Chlid

নতুন পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে জুতা বা স্যান্ডেল না কিনলে যেন ঈদের আমেজটা পূর্ণতা পায় না। তাই ঈদকে সামনে রেখে শিশুদের জন্য নানা ডিজাইনের আরামদায়ক জুতা ও স্যান্ডেল বাজারে এনেছে বিভিন্ন শোরুম। বাটা, অ্যাপেক্স, জেনিস, লোটো, শোরুম ছাড়াও ধানমন্ডি, বনানী, এলিফ্যান্ট রোড, গুলশানের বিভিন্ন দোকানগুলোতেও শিশুদের ব্র্যান্ড, নন-ব্র্যান্ডের জুতার পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা।

আজিজ সুপার মার্কেটে শিশু সন্তান স্বপ্নীলকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মা রেহেনা খাতুন। তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটায় সবার আগে শিশুদের কিনে দিতে হয় কারণ ওদের আনন্দটাই বেশি। তাই ছুটির দিনে তার ড্রেস কিনে দিতে এসেছি। এবারের বাজারে প্রথম থেকেই বাচ্চাদের চমৎকার কালেকশন আছে তবে তুলনামূলক দাম একটু বেশি।

এখান থেকে বাচ্চার ড্রেস কেনার পর্ব শেষ করে এলিফেন্ট রোড থেকে বাচ্চার জুতা কিনবেন। তিনি বলেন, এরপর পরিবারের সবার জন্য একএক করে কেনাকাটা করবো। ঈদের বাজারে কেনাকাটায় সব পরিবারেই শিশুদের অধিকার বেশি থাকে।

এএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।