চাপ নেই টিকিট কাউন্টারে
রাজধানীর গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা কার্যকরের প্রথম দিনে (রোববার) বিভিন্ন বাসের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীসংখ্যা কম দেখা গেছে। কাউন্টারে এসে ঘণ্টায় মাত্র ৩/৪ জন যাত্রীকে টিকিট কাটতে দেখা গেছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো কাউন্টারগুলোতে আজ যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। টিকিট ছাড়াই বাসে ওঠার সুযোগ থাকায় কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার প্রবণতা কমে গেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মালঞ্চসহ বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারে অলস সময় পার করছেন টিকিট বিক্রেতারা। তাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, যেহেতু নির্ধারিত স্টপেজ থেকে যাত্রীরা ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন তাই কাউন্টারে যাত্রী আসছেন কম।
কাউন্টারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে কি-না জানতে চাইলে কাকরাইলে ফাল্গুন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আবদুল মজিদ বলেন, কাউন্টার থাকবে, তবে যাত্রীরা যে স্থানে নামবেন সেই দূরত্বের ভাড়া দেবেন।
প্রেসক্লাবের সামনে বিআরটিসি পরিবহনের এক লাইনম্যান বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নাও হতে পারে। সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা থেকে শুরু করে নির্ধারিত দূরত্বে নির্ধারিত ভাড়া দিতে পারবেন যাত্রীরা।
প্রেসক্লাবের সামনে মালঞ্চ পরিবহন থেকে মোহাম্মদপুরে যাওয়ার টিকিট কিনছিলেন সবুজ নামে এক যাত্রী। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, গাড়িতে কন্ডাক্টরের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা ভালো লাগে না। তাই কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেছি।
সরেজমিনে ঘুরে আরও দেখা গেছে, কাউন্টার থেকে টিকিট না কিনলেও যাত্রীরাও বাসে উঠে বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়াই দিতে পারছেন।
তবে যেসব যাত্রীরা সিটিং সার্ভিস বন্ধের খবর জানেন না তারা কাউন্টার থেকেই আগের দামে টিকিট কিনছেন।
এমএম/বিএ/এসআর/এমএস