ফাঁসির মঞ্চ না দেখার অতৃপ্তি নিয়ে কারাগার ছাড়ছেন দর্শনার্থীরা


প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২৬ মার্চ ২০১৭

নগদ একশ টাকায় টিকিট কেটে প্রবেশ করে ফাঁসির মঞ্চ না দেখতে পারার অতৃপ্তি নিয়ে কারাগার ত্যাগ করছেন দর্শনার্থীরা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার থেকে তিনদিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রদর্শনী শুরু হয়। এতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালি মুক্তির সংগ্রামের দুর্লভ ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।

এছাড়া প্রদর্শনীতে ২২৮ বছরের পুরনো কারাগার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা স্মরণে নির্মিত জাদুঘর ঘুরে দেখার সুযোগ মিলছে। আগামীকাল সোমবার প্রদর্শনীর শেষদিন।

karagara

কারা অধিদফতর ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান জার্নি সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রদর্শনীতে দর্শনার্থী তুলনামূলক কম। প্রথমদিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল খুবই হতাশাজনক। তবে আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দর্শনার্থী আসছেন।

রোববার জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক দর্শনার্থী জানিয়েছেন, ফাঁসির মঞ্চ দেখতে না পারায় তারা হতাশ। পাঁচ যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের যে মঞ্চে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তা দেখার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও তা না দেখতে পেরে অতৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

karagara

আজ দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার টেবিল নিয়ে বসলেও দর্শনার্থী কম হওয়ায় টিকিট বিক্রেতারা দর্শনার্থী কয়েকজনকে এগিয়ে আসতে দেখেই চেয়ার ছেড়ে এসে টিকিট লাগবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করছেন।

ভেতর থেকে দেশাত্মবোধক গান বাজার পাশাপাশি কয়েক মিনিট পর ভেতরে পানির বোতল-খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না, ফাঁরি মঞ্চ দেখার সুযোগ নেই, ২২৮ বছরের পুরনো মেঘনা ও যমুনা ভবন দেখার সুযোগ থাকার কথা বারবার বলা হচ্ছিল।

karagara

দুপুর সাড়ে ১২টায় মুগদার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নয়ন মিয়া দুই শিশু ছেলে আদিল ও আদিবকে নিয়ে জেলখানা পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে আসেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, খুব ইচ্ছা ছিল ফাঁসির মঞ্চটি দেখার কিন্তু তা আর হলো না। টিকিটের দামও অতিরিক্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।