বাসা খুঁজছেন বস্তিবাসী : বেড়েছে ভাড়া


প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৭

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় বাস্তুহারা বস্তিবাসী হন্ন হয়ে বাসা খুঁজছেন। বস্তিবাসী আশপাশের অন্যান্য বাড়িতে গিয়ে বাসা খালি আছে কি না দেখছেন। এ সুযোগে মালিকরা বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বুধবার রাতে কড়াইল বস্তিতে অন্তত এক হাজারের বেশি বসতঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির বাসিন্দারা এখন সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। স্ত্রী-সন্তানের রাতযাপন ও মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পরিবারের পুরুষ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার তারা পোড়া বাড়ি থেকে স্তূপ সরিয়ে আশপাশের খালি বাসা খুঁজছেন। তবে পাচ্ছেন না। ফলে পুড়ে যাওয়া বস্তির ৯০ ভাগ মানুষকে থাকতে হবে খোলা আকাশের নিচেই।

2016October

কড়াইল বস্তির বৌ-বাজার এলাকার বড় মসজিদের পাশেই ছিল জিন্নাত আরার বসতঘর। গত চার বছর ধরে তিনি ওই ঘরেই ছিলেন। সর্বনাশা আগুনে তার সবকিছু পুড়ে গেছে। স্বামীহারা এই নারী জানান, বস্তিতে তার একটি মুদি দোকান ছিল। প্রায় তিন লাখ টাকার মালামালও ছিল দোকানে। আগুনে সব পুড়ে যায়। দোকানটির কারণে তিনি বস্তিতে থাকতেন। দোকান-বাড়ি সব কিছুই পুড়ে গেছে। এখন কীভাবে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় তিনি দিশেহারা।

রাতে কোথায় থাকবেন সে চিন্তায়ও ব্যাকুল তিনি। তিনি বলেন, ‘দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কোথায় থাকব? পাশে বাসা খালি আছে কিনা দেখতে গেছি। সবাই বলে খালি নাই। দু-একটা পাওয়া গেলেও তিনগুণ ভাড়া চায়।’

2016October

আবুল হোসেন নামে বস্তির এক রিকশাচালক জাগো নিউজকে বলেন, ছোট্ট একটা রুমে থাকেন তারা। তিন হাজার টাকা ভাড়া দেন। এখন সে বাসাটি পুড়ে গেছে। থাকার জন্য বাসা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাড়াও চায় অনেক বেশি।

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার আগুন লেগেছে। গত এক বছরে এ বস্তিতে তিনবার আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ বস্তিতে আগুনের ঘটনায় অর্ধশত ঘর পুড়ে যায় এবং আহত হন দুজন। একই বছরের ৪ ডিসেম্বর আবার আগুন লাগে এ বস্তিতে। এদিন দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় প্রায় পাঁচ শতাধিক বসতঘর।

এমএসএস/এমআরএম/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।