জবি হলের জায়গায় ইটভাটা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য কেরানীগঞ্জে ক্রয়কৃত নির্ধারিত ‘বঙ্গবন্ধু’ হলের জায়গায় চলছে ইটভাটার ব্যবসা। তিন বছর আগে জবি প্রশাসন এ জমি ক্রয় করলেও ইটভাটাটি এখনো সরানো হয়নি। এমনকি জবির মালিকানাধীন এ ২৫ বিঘা জমি ইটভাটা কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে বিনা টাকা-পয়সায়। অথচ একই জমির আগের মালিককে বছরে একটি নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করতো ইটভাটা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে জবি প্রশাসন আবাসন সঙ্কট নিরসনের জন্য কেরানীগঞ্জে ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয়ের তিনবছর অতিবাহিত হলেও তাতে হল নির্মাণ করেনি জবি কর্তৃপক্ষ। এ জমিটির আগের মালিকের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে এনবিএম ব্রিকস কোম্পানি প্রতিবছর ইট-ভাটার ব্যবসা করতো।
জমির মালিকানা পরিবর্তন হলেও ইটভাটা ব্যবসা চলছে আগের মতোই। মালিকানা পরিবর্তনের তিনবছর অতিবাহিত হলেও ইটভাটা কর্তৃপক্ষের প্রাপ্ত তথ্য মতে বিনা টাকা-পয়সায় তারা জবির ২৫ বিঘা জমি ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিএম ইটভাটার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখানে ১৫ বছর যাবৎ ব্যবসা করছি। আগের মতোই জবির জমিসহ আশপাশের জায়গা ব্যবহার করছি। তবে আমার জানা মতে অন্য জায়গা ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। জবির জায়গা ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হয় কি না তা আমার জানা নেই।
হলের জায়গায় ইটভাটা ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে জবির প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, জবির বঙ্গবন্ধু হলের জায়গায় ইটভাটা রয়েছে তা সত্য। তবে এ মাসের (ফেব্রুয়ারি) ২৮ তারিখের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু ইটভাটা সরানোর এ তারিখের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন এনবিএম ইটভাটার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, কেউ বললেই যখন-তখন ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত জায়গা খালি করা সম্ভব নয়। জবি যদি আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলে তার পরও মার্চ-এপ্রিলের আগে জমি খালি করা সম্ভব না। অবস্থাদৃষ্টে যা বুঝি তাতে মনে হয় জবি কর্তৃৃপক্ষ এ বছরও হলের জন্য মাটি ভরাট করবে না। যদি জবি প্রশাসন এপ্রিলের পরে মাটি ভরাট না শুরু করে তাহলে আগামী ইটের শেসনেও আমরা জবির জমি ব্যবহার করব।
জেডএ/পিআর