এই নারকীয় অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই : আরাফাত সানি


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে পুরোটাই ভেঙে পড়েছেন। মঙ্গলবার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। আরাফাত সানি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এ নারকীয় অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। আমি এ কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। এ নারকীয় অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলে আমি শান্তি পাব।’

সানি আরও বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে একবারেই ভেঙে পড়েছি। খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। জাতির কাছে দোয়া চাই আমি যেন এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাই।’

এর আগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এদিন একদিনের রিমান্ড শেষে আরাফাত সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াহিয়া। অপরদিকে সানির আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিচারক ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেয়ার পরপরই তিনবার জোরে জোরে আলহামদুলিল্লাহ বলেন মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা। এ সময় তিনি পশ্চিম দিকে দুই হাত তোলেন। আর জোরে জোরে তিনবার বলতে থাকেন আলহামদুলিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি।’ আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রোববার আরাফাত সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রোববার সকালে আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

সানির বিরুদ্ধে মোট দুটি মামলা করেন ওই তরুণী। একটি তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ও অন্যটি যৌতুক আইনে।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের ব্যক্তিগত ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি।

এ ঘটনায় নাসরিন সুলতানা নামে ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলাটি করেন। পরদিন যৌতুক আইনে অন্য মামলাটি করেন তিনি।

জেএ/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।