সরকারি অর্থায়নেই শাহজালালে রাডার স্থাপন


প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

অবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণ নিরাপদ করতে সরকারি অর্থায়নে অত্যাধুনিক রাডার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৫৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হবে এ প্রকল্প। (১৮ জানুয়ারি) প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ওই অবস্থান থেকে সরে এসেছে সরকার। শাহজালাল বিমানবন্দরের বর্তমান প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রাডার দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে পিপিপি’র আওতায় নতুন রাডার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য করিম অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল একটি প্রস্তাব পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রস্তাবিত প্রকল্প মূল্য ৫৭৯ কোটি টাকা এবং ১০ বছরে পরিশোধযোগ্য মূল্য ১,৭৫৫ কোটি টাকা অনেক বেশি বলে আপত্তি তোলে সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন কমিটি।

কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৩ সালে অনুমোদিত প্রস্তাবে প্রকল্পের আওতায় ২২ ধরনের যন্ত্রপাতি, স্থাপনা, সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ২১০ কোটি টাকা, ১০ বছরের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৪৫ কোটি এবং ১০ বছর পরে কারিগরি ব্যয় ৭৫ কোটিসহ মোট ৩৩০ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি জাগো নিউজকে বলেন, সে সময়ে মূল্যায়ন কমিটির সার-সংক্ষেপে বলা হয়, প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় বাস্তবায়িত হলে আনুমানিক ৭৬ কোটি টাকা বাৎসরিক কিস্তিতে ১০ বছরে মোট ৭৬০ কোটি টাকা পার্টনারকে পরিশোধ করতে হতো।

অন্যদিকে অতিরিক্ত আইটেম ও ভ্যাটসহ প্রকল্পের বর্তমান প্রস্তাবনায় মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭৯ কোটি টাকা, যার বিপরীতে পিপিপি পার্টনারকে ১০ বছরে পরিশোধ করতে হবে ১,৭৫৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা অত্যাধুনিক রাডার সংগ্রহ জরুরি হয়ে পড়েছে। এটি স্থাপন করা গেলে বিমানবন্দরের ক্যাটাগরি উন্নয়নে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আরএম/এমএমজেড/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।