প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৯১২৩ কোটি টাকার প্রকল্প


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

দেশের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ৯ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ৪০ হাজার শ্রেনিকক্ষ নির্মাণ, ৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা, ৩৬ হাজার ৫০০ শ্রেনিকক্ষ ও সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষককক্ষে চেয়ার টেবিল ও আলমারি স্থাপন এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন করা হবে।  

প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদফতর চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাহিদা ভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক এক প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ  বিবেচনায় শিগগিরিই চূড়ান্ত অনুমোদনের চন্য উপস্থপান করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৮১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ২ কোটি শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি সরকার ২৬ হাজার ৬০০টি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি বিদ্যালয়কে শিক্ষকসহ জাতীয় করণ করেছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ কিছুটা ভাল। কিন্তু সেগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অত্যাধিক। ফলে শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সার্বজনিন করণ ও ৫ম শ্রেনিতে সমাপনি পরীক্ষা জনিত কারণে শিক্ষার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান কাঠামোয় বিদ্যালয়গুলো এখন আর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না।

এ অবস্থায় প্রস্তবাতি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো যুগোপযোগী করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জিয়াউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অবকাঠমো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে শিক্ষার চাহিদাও বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে যুগোপযোগী করা দরকার। এই প্রেক্ষিতে আগামী একনেকে প্রকল্পটি  অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।    

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় পিইডিপি-৩ এর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। যা নীতি নির্ধারনীসহ সবমহলে গৃহিত হয়েছে।

ওই গাইড লাইনের আওতায় ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন যাচাই-বাছাই করে ব্যয় ৯১২৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধনের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৬শ’ সোলার ইলেকট্রিক প্যানেল, ৮শ’ বিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণ, ৪০ হাজার বিকদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহন সুবিধা, ২৪০০ বিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড রেইজিং, ২৪০০ বিদ্যালয়ে ভুমি উন্নয়ন, ৩০০০ বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রে কর্নার, ১৬শ বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, পিইডিপি-৩ এর আওতায় এ ধরনের আরও কয়েকটি প্রকল্প রয়েেেছ। যা সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে যুগপযুগি শিক্ষা ব্যবস্খা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।  

এমএ/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।