এক বছরেও শুরু হয়নি তাভেলা সিজার হত্যা মামলার বিচার


প্রকাশিত: ০৪:৩৬ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গত বছর এই দিনে (২৮ সেপ্টেম্বর) ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার এক বছরেও শুরু হয়নি আলোচিত এ মামলার বিচার। অপরদিকে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন মামলার দুই আসামি বিএনপি নেতা কাইয়ুম কমিশনার ও ভাঙ্গারি সোহেল।

মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি নেতা কাইয়ুম কমিশনারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন ডিবি পুলিশ। ১৮ অক্টোবর মামলাটি চার্জ গঠনের দিন ধার্য রয়েছে। ঐ তারিখে মামলাটির চার্জ গঠন করা হবে। আর মামলাটির বিচার কার্যক্রম খুব শিগগিরই শেষ করা হবে।

গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে গুলি করে হত্যা করা হয় নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি এনজিওর কর্মকর্তা ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজারকে (৫১)।  ঘটনার দিনই তার সহযোগী হেলেনা ভেন্টার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপর সিরিয়া ও ইরাকভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হত্যার দায় স্বীকার করে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়। পরে আইএসের নিজস্ব সাময়িকী দাবিক-এর নভেম্বর সংখ্যায় একটি নিবন্ধে দাবি করা হয়, আইএসের একটি ‘সিকিউরিটি সেল’ ঢাকায় সিজার তাবেলাকে চিহ্নিত করে হত্যা করেছে। এর পাঁচ দিন পর আইএসের সদস্যরা আবার আঘাত হানেন রংপুরে, যেখানে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশের সরকার শুরু থেকেই আইএসের দাবি না করে আসছে। পরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাপানি নাগরিক হত্যাসহ আইএসের দাবি করা অন্যসব ঘটনায় দেশীয় জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত।
 
ঘটনার ৯ মাস পর গত ২২ জুন বিএনপির নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-কাইয়ুমের ভাই আব্দুর মতিন, তামজিদ আহম্মেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগ্নে রাসেল, ভাঙ্গারি সোহেল ও শাখাওয়াত হোসেন। মামলায় কাইয়ুম ও ভাঙ্গারি সোহেল শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। অপর পাঁচ আসামি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মতিনের নির্দেশে শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান। মোটরসাইকেল চালান মিনহাজুল। আর সিজার তাবেলাকে গুলি করেন তামজিদ। বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম পরিকল্পনা ও অর্থদাতা হিসেবে ছিলেন।

জেএ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।