দুই বছরেও মাওলানা ফারুকী হত্যা রহস্যের জট খোলেনি


প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৬

ইসলামী ফ্রন্ট নেতা ও টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা রহস্যের দুই বছরেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা সিআইডি। মামলাটির তদন্ত শেষ করতে আর কত সময় লাগবে সে বিষয়ও কিছু জানে না তারা।

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পরে তার ছেলে একটি হত্যা মামলা করেন শেরেবাংলা থানায়।

মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। বিভিন্ন সময়ে মামলায় সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেও কোনো তথ্য পায়নি সিআইডি।

যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় দুই বছরেও আশানুযায়ী কোনো অগ্রগতি হয়নি এ মামলায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আরশেদ আলী মন্ডল জাগোনিউজকে বলেন, ফারুকী হত্যা মামলায় আশানুযায়ী কোনো অগ্রগতি হয়নি। মামলায় বিভিন্ন সময়ে সন্দেহভাজন সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের কাছ থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করতে কত সময় লাগবে তাও বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট এশার নামাজের পর আনুমানিক ৬-৭ যুবক পূর্ব রাজাবাজারে ফারুকীর নিজ বাসায় প্রবেশ করে। কিছু সময় পর ফারুকীর স্ত্রী ও এক ছেলেসহ তিন স্বজনের হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। এরপর পৃথক কক্ষে ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

ফারুকী হত্যা মামলায় বিভিন্ন সময়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আ. গাফফার, তরিকুল ইসলাম, মিঠু প্রধান, খোরশেদ আলম ও মোস্তফা আহম্মেদ রাশেদ কারাগারে আটক আছেন। আলেক বেপারী ও মোজাফফর বিন মহসীন জামিনে আছেন।

জেএ/এনএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।