শিল্পায়নের পথে বাংলাদেশ
কৃষি থেকে ক্রমেই শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক সময় কৃষিতে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেশি থাকলেও এখন তা শিল্পে বাড়ছে।
জানা গেছে, দেশব্যাপী ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হলে শিল্পায়নে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগের খরা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। তবেই শিল্পায়নের মাধ্যমে মধ্য আয়ের স্বপ্ন সফল হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ৭৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬৫টি সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ১০টি বেসরকারি। আগামী এক বছরের মধ্যে বাকি ২৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু অনুমোদন ছাড়া এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এর সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক উপাদানের নিশ্চয়তা দেয়া যায়নি। এছাড়া ব্যবসার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরুতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা লাঘব হয়নি বলেও অভিযোগ উদ্যোক্তাদের।
বেজাসংশ্লিষ্টদের মতে, দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে চীন, জাপান, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা আলাদা শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ লাঘবেও নেয়া হচ্ছে উদ্যোগ। একই ছাদের নিচে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ধরনের সেবা নিশ্চিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই প্রসংশনীয়। কিন্তু শুধু ঘোষণায় নয়, বাস্তবায়নেও জোর দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের কথা অনেক আগে থেকে শোনা যাচ্ছে।কিন্তু অগ্রগতি কতটুকু? এছাড়া রাস্তাঘাট ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে প্রতিবন্ধতা কতটুকু লাঘব হয়েছে সেটাও দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষে দেশের সব জেলায় একটি করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।এ জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষও (বেজা) গঠন করে সরকার। তাতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে এরই মধ্যে চীন, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে।
এমএ/এএইচ/পিআর