চাইরদিকে পানি তবুও খবর রাহে না কেউ
`কতদিন অইলো চাইরদিকে পানি তবুও খবর রাহে না কেউ।এতো পানির মইধ্যে চলাফেরাও করতে পারি না। ত্রাণ নেয়ার লাইগ্যা বহু কষ্ট কইরা আইছি।`
বন্যাকবলিত শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ত্রাণ নেয়ার পর আজিজ মৃধা নামে এক বৃদ্ধ আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতায় দেশের অন্যতম শীর্ষ নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪ডটকমের উদ্যোগে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এর আগে মানুষের ভিড়ে ত্রাণ নিতে না পেরে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল এই বৃদ্ধকে। ত্রাণ পাওয়ার পর কথা হয় জাগো নিউজ টিমের সঙ্গে।
তিনি জানান, তার একমাত্র ছেলে ১০ বছর আগে তাদের ছেড়ে চলে গেছে। এরপর কয়েকদিন রাজধানীতে পুরান কাপড় বিক্রি করেছেন তিনি। বন্যার পানিতে আটকে পড়ার পর এ পর্যন্ত কেউ তাকে ত্রাণ দেয়নি; তাই খুব কষ্টে তাদের জীবন কাটছে বলেও জানান তিনি।
বার্ধক্যজনিত কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না জানিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বন্যার পানির কারণে বিপদে পইড়া গেছি বাবা। বউও বয়সের ভারে ঘর থেইকা আর বাইর হইতে পারে না।’
লেখাপড়া না জানা এই বৃদ্ধ ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাকে সহযোগিতা করায় জাগো নিউজ টিমকেও ধন্যবাদ জানান।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত দেড় হাজার বন্যার্তের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও মহিলা সদস্যসহ স্থানীয়রা এতে সহযোগিতা করেন।
হাজারো বন্যার্তের ভিড়ে ত্রাণ পেতে কিছুটা কষ্ট হলেও ত্রাণ পাওয়ার পর বানভাসি মানুষগুলো হাসিমাখা মুখেই ফিরে যান তাদের নিড়ে।
এমএম/এসইউ/এআরএস/জেএইচ/আরআইপি