জাগো নিউজের ত্রাণ পেয়ে বেজায় খুশি রেজাতুন বিবি


প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৬

বয়স সত্তরোর্ধ্ব। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই স্বামী হারিয়েছেন। ছেলে-মেয়েও নেই। সমাজের পাঁচ-ছয়জনই তার ভরসা। শরীরে শক্তি না থাকায় ঠিক মত হাঁটতেও পারেন না। তাই অটোরিকশায়ই দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪ডটকমের ত্রাণ নিতে এসেছেন রেজাতুন বিবি নামে এই বৃদ্ধা।

বুধবার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতায় জাগো নিউজের ত্রাণ নেয়ার সময় কথা হয় এ বৃদ্ধার সঙ্গে।

ত্রাণ পাওয়ার পর হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে রেজাতুন বিবি বলেন, ‘উপরে এক আল্লাহ ছাড়া দুনিয়াতে কেউ নেই আমার। পুত-জিও নাই। সমাজের পাঁচজনই ভরসা।’

দেখাশুনা কে করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজের সন্তান না থাকলে কেউ কি দেখে? বেহাল অবস্থার মধ্যে আছি। এতো বছর কাম করে খাইছি, এখন আর পারি না। দুঃখ-সুখ মিলায়াই আছি।’

এখনো অবস্থার পরিবর্তন হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেই কষ্ট করে রান্না করে খাই। ভাইয়ের বউ আছে কিন্তু তারা তো আর সেভাবে খবর রাখে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘হাঁটতে পারি না, গাড়িতে আসি, গাড়িতে যাই। আশপাশে পানি, শুধু ঘরে পানি ওঠে নাই।’

বন্যার পানি বাড়ার পর ত্রাণ হিসেবে একবার চাল পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় বিল্লাল মেম্বার বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করার কারণে কোনোমতে জীবন পার করছেন বলেও জানান তিনি।

ত্রাণের সংবাদ কার কাছে জেনেছেন জানতে চাইলে স্বজনহারা এ বৃদ্ধা বলেন, এক সাংবাদিক তাকে চেয়ারম্যানের অফিসে ত্রাণ নিতে আসতে বলেছেন।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সম্পর্কে না জানলেও জাগো নিউজের ত্রাণ পাওয়ার পর দুই হাত তুলে দোয়া করেন ওই বৃদ্ধা।

এমএম/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।