ফ্লাইটের দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় হজযাত্রীরা
‘ঢাকায় এসেছি মঙ্গলবার। বলা হয়েছিল শুক্রবার (৫ আগস্ট) ফ্লাইট। কিন্তু আজ জানতে পারলাম সৌদি থেকে আইডি কার্ড না আসায় নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে পারছি না। গাইডকে জিজ্ঞেস করলে বলে, হয় ১০ তারিখ না হলে ২৫ তারিখ। একমাত্র আল্লাহ জানেন আমাদের ফ্লাইট কবে’ জাগো নিউজকে এভাবেই হজযাত্রার অনিশ্চয়তার কথা জানান রাজশাহীর মোহনপুর থানার বাসিন্দা নমির উদ্দিন।
নমির উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, সরকারি খরচ ৩ লাখ ৭ হাজার ৯০৭ টাকা জমা দিয়ে গাইডকে অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। তবে ঢাকায় এনে উনি বলতে পারছেন না ফ্লাইট কবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ৫, ৬, ১০, ২৫, ২৬ ও ২৭ আগস্ট এবং ৪ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট রয়েছে। তবে কোন ফ্লাইটে কে যাবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
মোহনপুর থেকে নমিরসহ মোট ২৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার হজে যাচ্ছেন। এই গ্রুপের গাইড আব্দুস সামাদ নামে এক সরকারি কর্মকর্তা। তার অধীনে ৪৫ হজযাত্রী রয়েছেন। এরা সবাই এখন হজক্যাম্পের চারতলার ডর্মেটরিতে রয়েছেন।
নসি মণ্ডল নামে একই গ্রুপের অপর হজযাত্রী বলেন, আইডি কার্ড কবে পাবো জিজ্ঞেস করলে গাইড বলে জানি না। তারিখও বলে না।
এ বিষয়ে গাইড আব্দুস সামাদ বলেন, ৪৫ জনকে ক্যাম্পে আনা হলেও ফ্লাইট জটিলতায় শুক্রবার ১৮ জনকে পাঠানো হবে। বাকিদের ৫-৭ জন করে ছোট ছোট গ্রুপে অন্যান্য ফ্লাইটে দেয়া হবে। তবে কাকে কোন ফ্লাইটে দেয়া হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
নমির উদ্দিন বলেন, সকালে দু’টা রুটি আর দুপুরে শুধু ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছি। তিনদিন চলার মতো টাকা নিয়ে এসেছিলাম। টাকা শেষ হতে শুরু করেছে। আগামী দিন থেকে বাড়ি থেকে বিকাশে টাকা আনতে হবে।
চলতি বছর ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৯১ হাজার ৭৫৮ জন।
তবে ১০ হাজার নির্ধারিত কোটা বরাদ্দ থাকলেও সরকারিভাবে প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ যাত্রী হজে যাবেন। বাকি কোটা বেসরকারি হজযাত্রীদের মাধ্যমে পূরণ হবে। ১০ সেপ্টেম্বর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর।
এআর/এএস/এএইচ/পিআর