চলতি মাসেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর হচ্ছে কি


প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৬

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তরের কথা থাকলেও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের গ্রিন সিগন্যাল এখনও মেলেনি। ফলে নির্ধারিত দিনে (২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর) বন্দি স্থানান্তর হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কারা অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কারা অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, কারাগার স্থানান্তর কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। আবার কেউ বলছেন, নির্ধারিত দিনে বন্দিদের স্থানান্তরের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করার কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত নীতিনির্ধারণী মহল থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দিকনির্দেশনা আসেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত দু-তিন সপ্তাহ ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের ৭০টি কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনিতেই জোরদার করা হয়েছে। তদুপরি সম্প্রতি গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৮ জনের মৃত্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের লক্ষ্যে মাসাধিকাল ধরে মহিলা ও শিশু কয়েদি হাজতিদের স্থানান্তর করা হচ্ছে।

কারা অধিদফতরেরর কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অর্ধশতাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, খুনি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের ৬-৭ হাজার আসামি রয়েছে। ফলে যে দুদিন স্থানান্তর কার্যক্রম চলবে সে দুদিন কারা অধিদফতরের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়াও র্যা ব ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে। ফলে নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিশ্চিত না করে বন্দি স্থানান্তর ঝুঁকিরও কারণ হতে পারে।

কাশিমপুরে বন্দি স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্ধারিত তারিখে বন্দি স্থানান্তরের বিষয়টি এখনও ফিফটি ফিফটি চান্স রয়েছে।  

তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার চূড়ান্তভাবে স্থানান্তরের সরকারি নির্দেশনা এখনও তারা পাননি। তবে নির্ধারিত দিনে স্থানান্তর করার লক্ষ্যে তাদের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।

এমইউ/জেএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।