নতুন পোশাকে বৃক্ষমানব ঈদ করবেন হাসপাতালে


প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ০৬ জুলাই ২০১৬

স্ত্রী হালিমা ও তিন বছরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তাহিরাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ঈদ উদযাপন করবেন বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার। ইতিমধ্যেই শুভাকাঙ্খিরা আবুলের জন্য নতুন পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, হালিমার জন্য শাড়ি ও মেয়ে তাহিরার জন্য জামা উপহার পেয়েছেন। মেয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করে, স্ত্রীর সঙ্গে গল্প ও ডিশ লাইনে ঈদের অনুষ্ঠান দেখে ঈদের দিন কাটাবেন।

ঈদের আগের দিন অর্থাৎ আজ বুধবার সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ঈদ পরিকল্পনার কথা জানান আবুল বাজনদার। তিনি জানান, বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে চলে গেছেন। সেও স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গ্রামে যেতে পারতেন। কিন্তু ইচ্ছে করেই হাসপাতালে রয়ে গেছেন।

কেন থেকে গেলেন এমন প্রশ্নে আবুল বাজনদার জানান, তার খুব ইচ্ছে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন মোট ১৪টি অস্ত্রোপচার করতে হবে। ইতোমধ্যেই ৬টি অস্ত্রোপচার হয়ে গেছে। বাকিগুলো বছরখানেকের মধ্যে করা হবে।

tree-man

তার স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকে আবুল বাজনদার ঢামেক বার্ন ইউনিটের কেবিনে চিকিৎসাধীন। আগের তুলনায় তার স্বামী অনেকটাই সুস্থ আছেন। উদাহরণ টেনে বলেন, আগে হাতগুলো অনেক ভারি থাকায় ব্যথা,যন্ত্রণা কাতরাতো ও সব সময় অস্থির থাকতো। এখন সে সহজেই হাত নাড়াচাড়া করতে পারে। চিকিৎসকরা সব সময় খবরাখবর রাখছেন।

আবুল বাজনদার জানান, প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারি ঈদে কেনাকাটা করতে  টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকায় নিজের জন্য পাঞ্জাবি, স্ত্রীর জন্য শাড়ি ও মেয়ের জন্য ফ্রক কিনেছেন। এক ব্যবসায়ী  তার ভাইও তার মেয়েকে  ঈদের গিফট দিয়েছে।

বাড়ি  ফেরার জন্য মন উদগ্রীব থাকলেও হাসপাতালে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঈদ করা নতুন অভিজ্ঞতা হবে বলে জানান আবুল বাজনদার।

এমইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।