প্রস্তুতি পর্যাপ্ত থাকলেও সদরঘাটে নেই কাঙ্ক্ষিত যাত্রী


প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৬

ঈদে নৌপথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউ)।  যাত্রী ভোগান্তি ও উপচে পড়া ভিড় রোধে লঞ্চ স্টান্ড বাই রাখার পাশাপাশি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও এর আশপাশে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু যার জন্য এত প্রস্তুতি সেই যাত্রীর ঢল নামেনি সদরঘাটে।  

গত সপ্তাহ থেকে রোববার পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত যাত্রীর দেখা মেলেনি সদরঘাটে।বিগত বছরগুলোর তুলনায় সদরঘাট দিয়ে  এবার কম যাত্রী ভ্রমণ করছেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন সেবা সংস্থা গত সপ্তাহ থেকেই ঘাটে নিযুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি বাড়তি হিসেবে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

এবার রাজধানীজুড়ে ২৪ জন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য নিয়োজিত রযেছে বিভিন্ন টার্মিনালে। এর মধ্যে আটজন রয়েছে সদরঘাট টার্মিনালে। রেড ক্রিসেন্টের  এ গ্রুপটি পঙ্গু, অসুস্থ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি যাত্রী বহনে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেছে।  

সদরঘাটে সেবায় নিয়োজিত রেড ক্রিস্টেন্ট সোসাইটির সদস্য ও বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দুর্জয় দাস জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আশা করছিলাম খুব চাপ হবে। তবে তেমন যাত্রী চাপ নেই।  

এদিকে এবারই প্রথম যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছে দিতে বিআইডব্লিউটি-এর পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের ঈদ ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামের একটি কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে লঞ্চের সঙ্গে  সংশ্লিষ্টদের রাখা হয়েছে।

Shodor-Ghat

এছাড়াও যাত্রীরা যাতে অগ্রীম টিকিট পেতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য নির্মিতব্য সদরঘাট বন্দর মার্কেটের নিচতলায় ৩৫টি টিকিট কাউন্টার খোলা হয়। প্রথম কয়েক দিন এখানে বিভিন্ন লঞ্চের টিকিট বিক্রেতারা বসলেও এখন কেউ বসছে না যাত্রী নেই বলে।  

বিআইডব্লিউটিএ এর  যুগ্ম পরিচালক ও ঈদ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন রোবাবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, সব সময়  আমাদের চেষ্টা থাকে যাত্রীদের নিরাপদে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিতে। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যে পরিমাণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল সে পরিমাণ যাত্রী হয়নি।   

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টার্মিনাল ও এর আশাপাশে ১৪টি পয়েন্টে মোট ২৮টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর সঙ্গে ২০টি মাইক সংযোজন করা হয়েছে। লঞ্চের ড্রাইভারদের তদারকির জন্য ছয়জন অতিরিক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিয়োজিত রাখা হয়েছে।  

টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের তেমন কোন চাপ নেই। পারাবাত-১০ এর স্টাফ উত্তম জানান, ঈদের ছুটি বেশি দিন হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে যাচ্ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুম হওয়ায়  যাত্রী কিছু কম হবে।   

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান রুমি কিসলু জাগো নিউজকে  জানান, এবার বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু যাত্রী তো পাচ্ছি না।

এসএম/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।