নতুন টাকা বিক্রির জমজমাট ব্যবসা


প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১১ জুন ২০১৬

ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন টাকার চাহিদা বেশি থাকলেও রমজানের শুরু থেকেই এ ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এর কারণ হিসেবে নতুন টাকা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে সবাই দান-খয়রাত করেন। আর টাকা নতুন-চকচকে হলে সবারই তা দান করতে ভালো লাগে। তাই রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি হচ্ছে টাকা।

রাজধানীর মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক, সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে ও গুলিস্তানে নতুন টাকার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা।

এসব স্থানে দুই টাকা, পাঁচ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার নোট বিক্রি হচ্ছে। তবে পাঁচ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোটের চাহিদা বেশি। পাঁচ টাকার বান্ডেলে অতিরিক্ত ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ১০ টাকার বান্ডেলে অতিরিক্ত ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ২০ টাকার বান্ডেলে অতিরিক্ত ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও ৫০ টাকার বান্ডেল ৯০ থেকে১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বিক্রিতারা জানান, সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৫, ১০ ও ২০ টাকার বান্ডেলের।
 
নতুন টাকা পেলে সবাই খুশি হন। ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও নতুন টাকার কদর আছে ক্রেতাদের খুশি করতে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজধানীতে চলছে নতুন টাকা কেনাবেচার রমরমা ব্যবসা।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী আব্দুল হালিম মতিঝিলে এসেছেন নতুন টাকা কিনতে। আব্দুল আলিম বলেন, আমি টাকা কিনতে এসেছি আমার স্যারের জন্য। স্যার রমজান মাসে গরিব-দুঃখী, অসহায় ও ভিক্ষুকদের দান করার জন্য এই নতুন টাকা নেবেন। তার হয়েই নতুন টাকা কিনতে আসা।
 
সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে দীর্ঘদিন ধরে নতুন টাকার ব্যবসা করেন আলতাফুন্নেসা। তিনি বলেন, মূলত আমাদের ব্যবসা হয় ঈদের সময়। কিন্তু রমজানের শুরু থেকে ছোট ছোট নোটের ভালো ব্যবসা হয়। কারণ সবাই দান-খয়রাতে এই টাকা ব্যবহার করেন। তবে সারা বছরই আমি এ ব্যবসা করি। এটাই আমার জীবিকার মাধ্যম।

এএস/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।