বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ ব্যয়ে বিশেষ উদ্যোগ


প্রকাশিত: ০৭:৩৩ এএম, ২৮ মে ২০১৬

জাতীয় বাজেটে  উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ কোনো বছরই ব্যয় করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এমন কি বৈদেশিক সহায়তার অর্থও অব্যবহৃত থেকে যায়। এর পেছনে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের  বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালক পুল বা পিডি পুল গঠনের চিন্তা চলছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি এডিপি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ১০টি। এর অন্যতম হচ্ছে অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতার অভাব, ধীরগতিতে অর্থ ছাড়, প্রকল্পের ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, খাতভিত্তিক কর্মসূচির অধীন অপারেশনাল প্লান লাইন পরিচালককে ঘন ঘন পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা, মনিটরিং ও মূল্যায়নের অভাব।

এছাড়া বৈদেশিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঠিক সময়ে সমীক্ষা বা মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা না দেয়া, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং পেতে দেরি, ক্ষেত্র বিশেষে ঠিকাদারের কাজে শ্লথগতি ও দরপত্র চূড়ান্তকরণে অনাকাক্ষিত বিলম্বের কারণেও প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সূত্র মতে, পিডি পুলের অভিজ্ঞ সদস্যরা এসব সমস্যা আগাম শনাক্ত এবং নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করবেন। এজন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকল্প পরিচালকদের সমন্বয়ে গঠিত হবে বিশেষ প্যানেল। আরও অভিজ্ঞতার জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে তাদের। আগামীতে ওই বিশেষ প্যানেলের সদস্যদের দিয়েই এডিপির বড় বড় প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়নসহ বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহার করা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এখন বিভিন্ন প্রকল্পে যে কোনো কর্মকর্তাকে পিডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিষয়টি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। এছাড়া ঘন ঘন পিডি পরিবর্তন করা হয়। যে কারণে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।

আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপির আকার হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা। নতুন এডিপির মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭০ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ভালো নয়। গত ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ। যা গত তিন বছরের একই সময়ের তুলনায় কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল ৫৬ শতাংশ। পাশাপাশি বৈদেশিক প্রতিশ্রুতির অর্থও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যে কারণে পাইপ লাইনে  বৈদেশিক প্রতিশ্রুতির অর্থের পাহাড় জমেছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ জানান, এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুততর  করতে নতুন উদ্যোগ হিসেবে পিডি পুল গঠন করা হবে। আগামী বাজেটে এর ঘোষণা থাকবে।

পিডি পুল গঠিত হবে অভিজ্ঞদের নিয়ে, যাতে যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তারা নির্ধারিত সময়ে তা শেষ করতে পারেন। এতে এডিপি বাস্তবায়নে গতি আসবে।

এমএ/এমএমজেড/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।