হজ নিবন্ধনে সাড়া নেই!


প্রকাশিত: ০৫:৪৭ এএম, ২৬ মে ২০১৬
ফাইল ছবি

প্রাক নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া থাকলেও হজে মূল নিবন্ধনের সাড়া এখনও প্রায় শূন্যের কোটায়। হজে যেতে মূল নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩০ মে  হলেও নিবন্ধনে এখনো তেমন কোনো সাড়া লক্ষ্য করা যায়নি।  

জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজের কোটা বরাদ্দ রয়েছে। নির্ধারিত কোটার বিপরীতে প্রাক নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৬ জন। তবে ২৫ মে পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৫৬ জন ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬১৮ জন পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

তবে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৮০৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪০ জন হজ গমনেচ্ছুক ব্যক্তি প্রাক নিবন্ধন করেছেন।

হজ নীতিমালা অনুসারে, এদের প্রত্যেকে সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন হজ এজেন্সির মাধ্যমে ব্যাংকে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাক নিবন্ধনকারী হিসেবে নাম অর্ন্তভুক্ত করেছেন। গত ১০ এপ্রিল থেকে নিবন্ধন শুরু হয়। ঘোষিত দুই ধরনের প্যাকেজের (৩ লাখ ৪ হাজার ও ৩ লাখ ৬০ হাজার) অবশিষ্ট বকেয়া জমা দিয়ে ঘোষিত তারিখের মধ্যে তাদের মূল নিবন্ধিত হওয়ার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাক নিবন্ধিত হজ গমনেচ্ছুকদের জন্য নিবন্ধনের শেষ সময়সীমা আগামী ৩০ মে (সোমবার) অর্থাৎ আর মাত্র চারদিন। অল্প সময় হাতে থাকলেও নিবন্ধনের সংখ্যায় এখনও প্রায় শূন্যের কোটায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে মাত্র ১ হাজার ৫৬ জন ও বেসরকারি পর্যায়ে ৬১৮ জন পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধনের সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাক নিবন্ধনকারী হজ গমনেচ্ছু ১ হাজার ৬৯৫ জনের মূল নিবন্ধন বাতিল করেছেন।   

এদিকে, মাত্র চারদিন হাতে থাকায় এ সময়ের মধ্যে হাজার হাজার বিশেষ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৯১ সহস্রাধিক হজ গমনেচ্ছুক ব্যক্তিদের মূল নিবন্ধন সম্পন্ন হবে কি না -তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, হজ নিবন্ধনে কাঙ্খিত সাড়া নেই, এ কথা বললে ভুল হবে না। প্রাক নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন এজেন্সিতে হজ গমনেচ্ছুরা যেমন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সে রকম কোনো সাড়া নেই। তবে বেসরকারির চেয়ে সরকারিতে বেশি নিবন্ধন হয়েছে।

তারা আরো বলেন, হজ গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করানোর জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন থাকলেও হাতে গোনা কিছু সংখ্যক জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। যা মোটেই যথেষ্ট নয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন পরিচালক (হজ অফিস, ঢাকা) আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছুকরা ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার পর ব্যাংক থেকে টাকা পাওয়ার প্রাপ্তি স্বীকার করে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। অতঃপর মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংকে কোন এজেন্সির পক্ষে কোন হজ গমনেচ্ছু টাকা জমা দিল, তার তথ্য-উপাত্ত সঠিকভাবে সত্যায়িত করতে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। তারা সত্যায়িত করার পর প্রতিটি হজ গমনেচ্ছু পিলগ্রিম আইডেনটিফিকেশন (পিআইডি)  নম্বার পাবেন। এ প্রক্রিয়ায়  নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে তার নাম নিবন্ধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। এসব নিয়মকানুন পালনের কারণেই নিবন্ধনের সংখ্যা কম।

এছাড়া এখন পর্যন্ত হজ নিবন্ধনে বিশেষ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খুব কম সংখ্যক হলেও শেষের দিকে একসঙ্গে কয়েক হাজার নিবন্ধন হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এমইউ/আরএস/এএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।