সিদ্ধ ডিমে জীবিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭

ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সুস্বাদু খাবার। যার গুণের নেই শেষ। ডিমের চাহিদাও বেশ। তাই তো কাঁচা কিংবা সিদ্ধ সব ডিমেরই ব্যবসা জমজমাট। এর মধ্যে রাত কিংবা দিন যেকোনো সময়ই রাজধানীর অফিসপাড়া বা ব্যস্ত এলাকায় কাঁচা ডিমের তুলনায় সিদ্ধ ডিমের চাহিদা একটু বেশিই।

কাঁচা থেকে সিদ্ধ হতেই দাম প্রায় দ্বিগুণ হলেও চাহিদায় ছেদ পড়ছে না। ফলে মানুষের সেই চাহিদার কারণে সিদ্ধ ডিম বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকে। এই ব্যবসার ওপর ভর করে রাজধানীতে জীবন ধারণের ব্যবস্থা করা মানুষেরা সংখ্যাও কম নয়।

রাজধানীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান বা রাস্তার পাশে বসে বিক্রেতারা সিদ্ধ ডিমের ব্যবসা করছেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাঁস, মুরগি ও কোয়েল পাখির সিদ্ধ ডিম বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। এর মধ্যে হাঁস ও দেশি মুরগির সিদ্ধ ডিম ১৫ টাকা, ফার্মের মুরগির ১০ টাকা এবং কোয়েল পাখির ডিম চার টাকা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা। রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের অপেক্ষায় শত শত মানুষ। ফুটপাতে হরেকরকম পণ্য চলছে বিকিকিনি। পাশেই সিদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন আব্দুল কাইয়ুম বাচ্চু। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন বেশকিছু মানুষ। অনেকে ডিম খাচ্ছেন। আবার অনেকে অপেক্ষায় আছেন ডিমের জন্য। ব্যস্ততার মধ্যেও কথা হয় বাচ্চুর সঙ্গে।

তিনি জানান, ১০ বছর ধরে এখানে সিদ্ধ ডিমের ব্যবসা করছেন। এ ব্যবসা দিয়েই চলে সংসার। সারা বছর ডিম বিক্রি হয়। তবে গরমে সিদ্ধ ডিমের চাহিদা কম থাকে। এখন প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০টি মতো ডিম বিক্রি হয়। তবে শীত এলে এর চাহিদা দ্বিগুণ হয়। তখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি ডিম বিক্রি হয়।

হাঁসের ডিম বেশি বিক্রি হয়। প্রতি পিস হাঁসের সিদ্ধ ডিম বিক্রি করি ১৫ টাকা, ফর্মের মুরগির ডিম ১০ টাকা, জানান তিনি।

ব্যবসা কেমন- জানতে চাইলে বলেন, বাজারে ডিমের দাম বেশি। আবার এখন সিদ্ধ ডিম বিক্রি কম হয়। তাই লাভ কম। একটি ফার্মের লাল ডিম সাড়ে ৬ থেকে সাত টাকা কেনা পড়ে। সিদ্ধ করে তা বিক্রি করি ১০ টাকায়। এর মধ্যে সিদ্ধ করার খরচ ও জায়গা ভাড়া রয়েছে। সব মিলিয়ে ডিম বিক্রি করে দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা থাকে। আর তা দিয়েই সংসার চলে। এখন ব্যবসা কম তাই সংসার চালাতে একটু কষ্ট হয়। তবে শীতে ডিম বিক্রি বাড়বে তখন লাভও বেশি হবে।

সিদ্ধ ডিমের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী জুনায়েদ। তিনি বলেন, অন্যান্য খাদ্যের চেয়ে ডিম ভেজাল মুক্ত। পুষ্টিও বেশ। ক্ষুধা লাগলে অন্য সব খাবার না খেয়ে ডিম খাই।

পল্টন এলাকায় ফুটপাতে সিদ্ধ ডিম বিক্রি করেন আহম্মদ। তিনি জানান, বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। সন্ধ্যার পর তা বেড়ে যায়। হাঁস, মুরগি, কোয়েলের ডিম পাওয়া যায়। লাভ ভালোই হয়।

তিনি আরও জানান, গরম থাকায় বিক্রিও একটু কম। তবে শীত আসছে, বিক্রিও বাড়বে।

এসআই/একে/এমএআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।