কালচারাল এলিটরা দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানিয়েছে: আজহারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মিজানুর রহমান আজহারী/ছবি: ফেসবুক

কথিত কালচারাল এলিটরা দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

তার দাবি, ‘কালচারাল এলিটরা বিগত ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের খায়েশমতো ফ্রেমিং (সাজিয়েছে) করেছে। মুক্তিযুদ্ধে যেখানে অংশই নিয়েছে এ দেশের আপামর মুসলিম জনতা, সেখানে মুসলিমদেরকেই বানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক। কালচারাল এলিটদের এই তীব্র মেরুকরণের ফলাফল— আজকের বৈষম্য আর ফ্যাসিজম।’

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন

পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘এবারের বিজয়-দিবসটি অন্যরকম। সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। কারণ, জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি যে এখনো তাজা। স্বাধীনতা ২.০ এর স্বাদ নিয়ে আমরা উদযাপন করছি— এবারের বিজয়ের দিনটি। কিন্তু আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে আমি খুব করে ভাবতে চাই— জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের যথাযথ মূল্য কি আমরা দিতে পারছি?’

তিনি লেখেন, ‘একাত্তরে আমরা লড়াই করেছিলাম জালিম রেজিমের বিরুদ্ধে। অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই আমাদের সেই বিজয় লুট হয়ে যায়। দেশ চলে যায় পুঁজিপতিদের পকেটে, কালচারাল এলিটদের দখলে। যার ফলাফল— ৭৪ এর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। যার ফলাফল— নিজ দেশে থেকেও আমরা কোণঠাসা।’

‘এই কালচারাল এলিটরা বিগত ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের খায়েশমতো ফ্রেইমিং করেছে। মুক্তিযুদ্ধে যেখানে অংশই নিয়েছে এদেশের আপামর মুসলিম জনতা, সেখানে মুসলিমদেরই বানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক। কালচারাল এলিটদের এই তীব্র মেরুকরণের ফলাফল— আজকের বৈষম্য আর ফ্যাসিজম।’

‘তাই বিজয়ের দিনে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার প্রতীক ছিল মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ। তাদের হৃদয়ে ছিল শহীদি আকাঙ্ক্ষা। মজলুম, শহীদ, আল্লাহর সাহায্য— এসব পরিভাষাই সেদিন আন্দোলনকে ট্রিগার করেছিল। মানুষকে চুম্বকের মতো টেনে এনেছিল রাজপথে। একাত্তরও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না।’

আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতার বাংলাদেশ উল্লেখ করে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, ‘বিজয়ের এই দিনটা উদযাপনের। একইভাবে ভবিষ্যত-কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবার। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই— যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এমন একটা বাংলাদেশ, যেখানে কারো ধর্মীয় মূল্যবোধকে দমন করতে, কোনো ‘জ*ঙ্গি’ নাটক সাজানো হবে না। এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর হাম*লার ছক আঁকা হবে না। যেখানে নিশ্চিত হবে সব বিশ্বাসের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতার বাংলাদেশ।’

এএএইচ/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।