বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ যা চাইছেন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪

ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে মানবতা। বিলীন হয়ে গেছে বেঁচে থাকার সবশেষ অবলম্বন। বন্যার্ত এসব এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সরকারি-বেসরকারিভাবে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠন। দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের পাশাপাশি পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণসামগ্রী। যে যার সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করছেন। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছেন অনেকেই।

যে বস্তুগুলো এ সময়ে মানুষের খুব বেশি জরুরি। নেটজুড়ে তেমনই কিছু বস্তু পাওয়ার আবেদনের স্টাটাস ঘুরে বেড়াচ্ছে গত ২২ আগস্ট রাত থেকে। একই ধরনের ত্রাণসামগ্রী না দিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষকে ভিন্ন কিছু দেওয়া যেতে পারে। একই ধরনের যান না পাঠিয়ে ভিন্ন ধরনের কিছু পাঠানো যেতে পারে। এমনই কিছু আবেদন এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

রেহনুমা তাসনিম লিখেছেন, ‘মহিলাদের পরার জামা নেই, বাচ্চাদের পোশাক নেই। আপনারা যদি পারেন মহিলাদের পর্দার ব্যবস্থার জন্য ওড়না বা গামছা দিলে উপকৃত হবে।’

এসএমডি সোহেল রানা লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম বন্যাকবলিত এলাকায় যদি লঞ্চ চলে যায়, অসংখ্য মানুষ লঞ্চে আশ্রয় নিতে পারবে।’

সায়েম সাবু লিখেছেন, ‘বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য চাষিরা। কিছুই থাকে না। তাদের ক্ষতি আড়ালেই থেকে যায়।’

মাকামে মাহমুদ লিখেছেন, ‘লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি এখন কেমন? কোথাও রেসকিউ টিম পাঠানো লাগলে জানাবেন।’

সালাউদ্দিন হাসান লিখেছেন, ‘গতকাল রাত ১০টার পর থেকে বাড়িতে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।’

তাশইফ আহমাদ রবি লিখেছেন, ‘শত শত মানুষের খাবার রেডি। কিন্তু বোট বা বড় ট্রাক পাচ্ছি না রাত হওয়ার জন্য। প্লিজ কেউ হেল্প করুন! রশিদিয়া মাদ্রাসার ওদিকে অনেক খারাপ অবস্থা। ওদিকে আমরা যাবো খাবার নিয়ে।’

হাফিজা আয়েশা মনি লিখেছেন, ‘যেহেতু পানির পরিমাণ অনেক বেশি। সুতরাং দেশের বড় বড় লঞ্চের মালিকরা যদি তাদের লঞ্চগুলো নিয়ে ফেনী, কুমিল্লার নদীগুলোতে ভাসমান আশ্রয়কেন্দ্র করতো। তাহলে হয়তো অনেক মানুষ নিরাপত্তা পেতো।’

আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘জরুরি কিছু খাবার সাহায্যের প্রয়োজন। খেজুর, পানি, মুড়ি, শুকনো খাবার। ইনশাআল্লাহ কিছু টাকা পেলে বিকেলে শহরে আসবো, বাজার করবো। মানবিক পরিস্থিতি কয়দিন চলবে একমাত্র আসমানের মালিক জানেন।’

সৈয়দা শর্মিলী জাহান লিখেছেন, ‘অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকজন ছাড়া এ মুহূর্তে আটকে পড়া লোকজন রেসকিউ করা অসম্ভব। পানির নিচে একতলা ঘর, বড় গাছগুলো দেখা যাচ্ছে না। বোট এখানে আঘাত পেয়ে উল্টে প্রাণহানী হচ্ছে। পানির স্রোতে দিকহারা হচ্ছে। এখন জরুরি যারা বেঁচে থাকবে, তাদের জন্য ফান্ড রাইজিং, শুকনো খাবার ও স্যালাইন, পোশাক সংগ্রহ করা। বন্যা পরবর্তী অবস্থা হবে ভয়াবহ।’

এসইউ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।