ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শহর পরিষ্কারে প্রশংসিত শিক্ষার্থীরা

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর প্রশংসায় ভাসছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কর্মবিরতিতে পুলিশ প্রশাসন। এমন অবস্থায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সেখানে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রতিনিধিও আছেন। তারা শহরের ময়লাও পরিষ্কার করছেন।

এমন দৃশ্য দেখে পথচারীরা প্রশংসা করছেন শিক্ষার্থীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও প্রশংসা করা হচ্ছে তাদের। বিভিন্ন সড়কের ছবি পোস্ট করে নিজের অনুভূতি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তারা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

মাহতাব হোসাইন লিখেছেন, ‘ঢাকার এক অন্যরকম চেহারা দেখলাম। একদল ছেলে-মেয়ে ময়লা পরিষ্কার করছে, একদল দেওয়াল লিখন ঘঁষে তুলছে। একদল রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছে। চমৎকার করে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা হাপিয়ে যাচ্ছে, তাদের পানির বোতল দিয়ে যাচ্ছে আরেকদল। মোড়ে মোড়ে সুন্দর দৃশ্য। সমন্বিতভাবে রাজধানী নিয়ন্ত্রণ করছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’

মো. নাজমুল হোসাইন তার পোস্টে লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের সড়ক সামলানোর পদ্ধতি দারুণ।’ তার এই পোস্টের কমেন্টে তরিকুল ইসলাম রাজন লিখেছেন, ‘বাস ড্রাইভারদের মন খারাপ। এক সিগন্যালে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে না দেওয়ায় তারা বিরক্ত।’

ফরিদুল ইসলাম নির্জন তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘গুলশান থেকে গাড়িতে ফিরছি। মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীর সাথে আনসার বাহিনী সহযোগিতা করছে। সুন্দরভাবে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। কিছুক্ষণ গাড়ি থামিয়ে দেখলাম, কেউ গাড়ি থামিয়ে জুস, পানির বোতল, বিস্কুট দিয়ে যাচ্ছে। কী সুন্দর দৃশ্য। শৃঙ্খলায় চলছে সবকিছু। একদিন যায়নি, কিন্তু বলতে শুরু করেছে দেশ গোল্লায় গেল। এসব সুন্দর দৃশ্য তারা কি চোখে দেখে না? তবে যারা ডাকাতি, লুটপাটে ব্যস্ত, ভাববেন না তারা পার পাবে। অপেক্ষা করেন তাদের পরিস্থিতি দেখতে। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের কখনো ছাড়বে না।’

সিলেটের জিন্দাবাজারের জালাল জয় লিখেছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সিলেটের স্কাউট সদস্যরাও।’ তার পোস্টে কমেন্ট করেছেন ইশরাক জাহান জেলি। তিনি লিখেছেন, ‘জ্যাম নাইনি। দুদিনে জ্যাম চোখে লাগেনি। ছাত্ররা নতুন কোনো টেকনিক ট্রাফিকদের শিখিয়ে যাবে কি না অপেক্ষায়।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।