কানজয়ী অনসূয়াকে তসলিমার অভিনন্দন

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ২৬ মে ২০২৪

কান চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাঙালি অভিনেত্রী অনসূয়া সেনগুপ্ত। ‘দ্য শেমলেস’ সিনেমার জন্য এবারের আসরের ‘সেরা অভিনেত্রী’র পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার এই অভিনেত্রী। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতলেন। আঁ সার্তে রিগায় সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতেছে চিনের ‘ব্ল্যাক ডগ’।

তার পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি অনসূয়ার প্রশংসার সঙ্গে অন্যদের তিরস্কারও করেছেন। ভারতের চলচ্চিত্র জগতের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ২৫ মে এ বিষয়ে তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

কানজয়ী অনসূয়াকে তসলিমার অভিনন্দন

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘অনসূয়া সেনগুপ্ত কান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন! তাঁকে অভিনন্দন জানাই। দ্য শেমলেস দেখার জন্য উদগ্রীব আমি। ট্রেইলার যেটুকু দেখেছি, ভালো লেগেছে।’

অভিনেত্রীদের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের নায়িকাগুলো রূপ নিয়ে ব্যস্ত। তথাকথিত রূপসী না হয়েও অনসূয়া অভিনয় করে দেখিয়ে দিলেন যে তিনি ভালো অভিনেত্রী। আমাদের নায়িকাগুলো রূপে এক নম্বর হতে চান, অভিনয়ে নয়। এঁদের অভিনেত্রী না বলে রূপনেত্রী বলা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন

অভিনেতা ও পরিচালক সম্পর্কে তার অভিমত, ‘বলিউডে তো কিছু পেশিসর্বস্ব বডিবিল্ডারকে অভিনেতা বলা হয়। বাংলার বাইরে থেকে পরিচালক এসে ঠিকই প্রতিভা খুঁজে পান। এখানকার পরিচালকগণ তো কেবল অল্প বয়সী রূপসী খোঁজেন!’

কানজয়ী অনসূয়াকে তসলিমার অভিনন্দন

জানা যায়, কানে অফিশিয়াল মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিল কনস্টানটিন বোজানভ পরিচালিত ভারতীয় সিনেমা ‘দ্য শেমলেস’। ছবিতে ‘রেনুকা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনসূয়া। সিনেমাটির গল্প একজন যৌনকর্মীকে নিয়ে। যিনি দিল্লির একটি যৌনপল্লিতে এক পুলিশকে হত্যা করে ফেরার হন।

অনসূয়া কলকাতায়ই বড় হয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কান জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আলোচনার শীর্ষে একটাই নাম ‘অনসূয়া’।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।