ফেসবুক আলোচনায় ফারিজের সেই ছবি
সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের ভাতিজা ফারিজ রহমানের বেপরোয়া গাড়িচাপায় সোমবার গুলশানে এক শিশু নিহত ও চারজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর ফারিজ রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ হেফাজত থেকে ফারিজকে ছেড়ে দেয়ার সেই ছবি প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এ ছবিগুলো নিয়ে ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়।
মজা লস নামের একটি ফেসবুক পেইজ ছবিগুলো প্রকাশ করার পর মুহূর্তের মধ্যে সেগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিগুলোতে এ পর্যন্ত লাইক পড়েছে ২০ হাজারের উপর এবং শেয়ার করেছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ।
ফারিজ রহমানের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ছবি পোস্ট করে মজা লস তাদের পেইজে লেখে: ‘‘ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে গুলশান থানা পুলিশ ফারিজ রহমানকে আদরের সাথে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঝটপট সরিয়ে ফেলে কয়েকটা দরকারী ‘জায়গা মতন’ ফোন কলের পর। এইসব ছবি ফাঁস করে দেয়ার পরেও মনে হয় গুলশান থানা পুলিশ দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করবে না।
পুলিশ বলেছে কেউ মামলা করেনি তাই কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।
আসলেই কি তাই? তাহলে
- ১৬ বছর বয়সে গাড়ি চালানো কি বৈধ?
- ধরে নিলাম আমরা ক্ষমতার জোরে তাও বৈধ, তাহলে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ চাপা দেয়ার শাস্তি সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা না? এর জন্য কি আহত-নিহতদের মামলা করা লাগবে? ট্রাফিক আইন কি বলে?
- মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে গাড়িতে, চালক ১৬ বছরের মাতাল, মাদক দ্রব্য আইনে এর শাস্তি কি?
এইভাবে খুজলে আরো অনেক প্রশ্ন পাওয়া যাবে যার একটারও উত্তর গুলশান থানা পুলিশের কাছে নাই। কারণ দেখতেই পাচ্ছেন যে জায়গা মতন ফোন চলে গিয়েছে। পুলিশের কাজ কাকে রক্ষা করা? কেউ কি জানাবেন গুলশান থানা পুলিশ কে ফোন দিয়ে যে তাদের পেশাগত দায়িত্ব কি?”
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের কিশোর ভাতিজার বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সোমবার গুলশানে এক শিশু নিহত ও চারজন আহত হয়। সোমবার এই ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার তা প্রকাশ পায়। ওই ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি, পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।
এআরএস/এমএস