ফেসবুক স্টাটাস
‘মারাত্মক সুসংবাদ’ বললেন মাহবুব কবীর মিলন
লোকোমোটিভের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং লোকোমোটিভের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। এই কমিটি গঠনকে তিনি ‘মারাত্মক এক সুসংবাদ’ বলেছেন। লেখাটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
‘‘মারাত্মক এক সুসংবাদ। রেল ইঞ্জিনের কার্যকরিতা বৃদ্ধি এবং ইঞ্জিনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য তিনজন ছাত্রকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রেলের প্রকৌশলীরাও আছেন। ইঞ্জিন একটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল এবং কারিগরি বিষয়।
ছাত্রদের এই কমিটিতে রাখায় ইঞ্জিনের মান অনেক উন্নত করা সম্ভব হবে। আগের মতো নিম্নমানের ইঞ্জিন, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। ইঞ্জিনের ড্রয়িং ডিজাইন এবং স্ট্রাকচার পরিবর্তন এবং আধুনিক করতে এখন ছাত্ররা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। আগে ইঞ্জিন আনার পর দেখা যেত ওজন বেশি হওয়ার কারণে এই লাইনে চলে তো ওই লাইনে চলে না। নতুন ইঞ্জিনের অসংখ্য ছোট এবং সেনসিটিভ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্টস ঘনঘন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ করা সম্ভব হবে। অযথা বুয়েট, কুয়েট, রুয়েটের প্রকৌশলীদের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এবার আসি দুর্নীতিতে। নিম্নমানের ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ এনে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। যা এবার বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন
আরও ভালো বিষয় আছে। ছাত্রদের রেলে অফিস কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা নিয়মিত সচিব ও ডিজির কক্ষে বসে তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করছে। এতে রেলের কাজের গতি ও মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলের সম্মানও অনেকগুণ বেড়ে গেছে।
ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, রেল এতদিন একটি অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত ডিপার্টমেন্ট ছিল। যা এখন দূর করা সম্ভব হবে।
এভাবে সব মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর অধিদপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। এতে কাজের গতি ও মান বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি দূর হবে। প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
** তিন ছাত্র রাজউক, ইম্পেরিয়াল এবং গভ. ল্যাব কলেজের ছাত্র। এরা তরুণ এবং উদ্যমী হওয়ায় টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ভালো ভাবে অনুধাবন এবং পরামর্শ দিয়ে রেলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে।’’
এসইউ/এমএস