বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত
৩০০ ফিটের দুর্ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে সাইয়েদ আব্দুল্লাহর পোস্ট
রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোহতাসিম মাসুদ (২২) নামের এক বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অমিত সাহা (২২) ও মেহেদী হাসান (২২) নামে তার দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। ১৯ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রথম থেকে সমর্থন দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। পোস্টটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
‘‘রাতের বেলা পূর্বাচলে পুলিশ চেকপোস্টে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তিন বুয়েট ছাত্র, তাদের পরিচয় যাচাই করছিল পুলিশ। এমন সময় পেছন থেকে এসে বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা এক গাড়ি উঠে যায় ওদের ওপর। গাড়ি নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ ৪৩-০৪৫১।
স্পটেই মারা যায় বুয়েট সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র মাসুদ। অন্য দুজন বুয়েট ছাত্রও মারাত্মক আহত।
- আরও পড়ুন
- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করায় উচ্ছ্বাস
- শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
চাপা দেওয়া হয় যেই গাড়ির দ্বারা, সেটাতে তিনজন ছিল। ওই তিনজনের ভেতর একজন ছিল সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে মুবিন আল মামুন, বর্তমানে এ লেভেলে পড়ুয়া ছাত্র। অন্য দুইজনের নাম যথাক্রমে মিরাজুল করিম (পিতা রিজওয়ানুল করিম) ও আসিফ চৌধুরী (পিতা বাহাউদ্দিন চৌধুরী)। পুলিশের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এদের প্রত্যেকের বয়সই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। (একটা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে যে গাড়িটি ড্রাইভ করছিলেন মামুন, তবে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হতে পারি নাই, সেজন্য কনক্লুসিভ কোনো কথা বললাম না)।
ড্রাইভিং কে করছিল–এই আলাপ যদি একটু দূরেও রাখি, অন্য একটা আলোচনা খুবই প্রাসঙ্গিক। একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই গাড়িতে অ্যালকোহলিক আলামত পাওয়া গেছে। কাজেই ধারণা করা হচ্ছে, ওই গাড়িতে যেই তিনজন বন্ধুটাইপ ব্যক্তি ছিল; তারা নেশারত অবস্থায় ছিল এবং ওই অবস্থাতেই গাড়ি ড্রাইভ করা হচ্ছিল। এ সম্ভাবনাটা কিন্তু অবশ্যই শক্তভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।
ওই গাড়িতে থাকা তিনজনের ডোপটেস্ট করানোটা অত্যন্ত জরুরি এবং সেটা করতে হবে দ্রুততম সময়ের ভেতরেই। পাশাপাশি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে এই যে একজনকে মেরে ফেলা হলো এবং অন্য দুইজনকে মারাত্মক আহত করা হলো, এই ইস্যুতে ন্যায়বিচার কাম্য। কোনো অবস্থাতেই যাতে ধামাচাপা দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি।’’
এসইউ/এএসএম