বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়া এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এর যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে; তেমনই রয়েছে নেতিবাচক প্রভাবও। ফলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে না। গুজবের কবলে পড়ে ঘটছে নানাবিধ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

দিন দিন বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার। এর ফলে ব্যক্তি জীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। সামাজিক জীবন হয়ে পড়ছে দুর্বিসহ। দেশের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সাইবার অপরাধ। চিন্তা ও আবেগ উন্নত হওয়ার বদলে অবনতির দিকে যাচ্ছে। সহিংস আচরণের পরিমাণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।

সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের ফলে সংঘটিত হচ্ছে নানাবিধ অপকর্ম এবং ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এর মাধ্যমে মানুষ যতটা আধুনিক হচ্ছে; ততটাই নির্লজ্জ ও বেহায়া হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। একই ভাবে বাড়ছে নিঃসঙ্গতা। একদিকে রাতারাতি সেলেব্রিটি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে; অপরদিকে মানবিক গুণাবলি কমতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত ব্যবহারে পারস্পারিক বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। ঘাটতি দেখা দিচ্ছে আন্তরিকতায়। শিথিল হচ্ছে পারিবারিক বন্ধন। প্রত্যেকে হয়ে উঠছেন আত্মকেন্দ্রীক। এর অপব্যবহারে অনৈতিক সম্পর্কের ছড়াছড়িও চোখে পড়ার মতো। পারস্পারিক বিশ্বাস ও নির্ভরতায় ফাটল ধরছে যখন-তখন। সৃষ্টি হচ্ছে সন্দেহপ্রবণতা। ভাঙছে সুখের সংসার।

সোশ্যাল মিডিয়ার ফেক আইডির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গোপন ছবি প্রকাশ, অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলা হয়। এমনকি ভুল, বানোয়াট খবর, ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ফলে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

এর ব্যবহারের ফলে রাগ, ক্রোধ, অবসাদ, বিষণ্নতা, একাকিত্ব, হতাশা ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। তাই এর অপব্যবহার রোধ করতে পারলে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সংগতকারণেই এর অপব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।