খাদ্য উপদেষ্টাকে মাহবুব কবীর মিলনের কিছু প্রশ্ন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাসের মাধ্যমে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করেছেন। ৪ এপ্রিল ১০টা ৪৫ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রশ্নগুলো করেন। লেখাটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—

‘‘মাননীয় খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার স্যার, আপনি দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। আপনার কর্মদক্ষতা, জ্ঞান এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা সর্বজনবিদিত। প্রশাসন ক্যাডারের গুরু এবং পথিকৃৎ আপনি। আপনিই পারবেন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

বিজ্ঞাপন

১. আপনি স্যার নিরাপদ খাদ্যের দায়িত্বে আছেন। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-কে অধিকতর শক্তিশালী, আধুনিক এবং যুগোপযোগী করে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০২২ এর খসড়া আইনটি গত তিন বছর ধরে আপনার মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। কোথায় কার টেবিলে এবং কেন এটাকে আবর্জনা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, তা কেউ জানে না।

আপনি এক খসড়া আইনের ফাইলকে খুঁজে বের করে তা চালু করা এবং দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জানাবেন প্লিজ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২. নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করবেন, তিনি গত তিন বছরে এই খসড়া আইন নিয়ে কতবার খোঁজ নিয়েছেন এবং দৌড়ঝাঁপ করেছেন। তিনি জানেন কি না, সেই ফাইল কোথায় আছে।

৩. আপনি আমাদের জানাবেন, আমাদের সকল প্রকার মুরগি এবং ডিম, সকল প্রকার শাক এবং সবজি, চাল এবং আলু এমনকি মাছ সম্পূর্ণ নিরাপদ কি না। আমরা নিশ্চিন্তে খেতে পারব কি না। খেতে পারলে তার প্রমাণ দিতে হবে।

৪. আপনার মন্ত্রণালয়, মানে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে শুধু ধান, চাল, গমের আমদানি, মজুত এবং সংগ্রহ নিয়ে। আপনাদের কাজ বস্তা এবং সায়লো নিয়ে। কাজেই আপনি অনুগ্রহ করে জানাবেন, আপনার মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে বা আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে রাখা বিজ্ঞানসম্মতভাবে যৌক্তিক কি না। সম্পূর্ণ স্বাধীন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন আছে কি না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৫. গত তিন বছরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বাজার থেকে কতটি খাদ্যপণ্যের নমুনা (মামলা নয়) সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছেন।

৬. আপনার এপিএস কোন ক্ষমতাবলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গাড়ি ঢাকা মেট্রো ৩৪-৭৮৮১ গাড়িটি সার্বক্ষণিক ব্যবহার করছে।

৭. আপনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কী কী কাজ বা পরিবর্তন এনেছেন।
সরি স্যার, জেন-জির যুগ তো, বেয়াদবি হলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। আরও অনেক কথা আছে। আর একদিন হবে ইনশাআল্লাহ।’’

বিজ্ঞাপন

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।