গোনাহ মাফের সহজ আমল


প্রকাশিত: ০৬:৩৬ এএম, ১৮ মে ২০১৬

হজরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মানুষ পবিত্রতা অর্জনের বদৌলতে মহান মর্যাদার অধিকারী হয়। মানুষের অন্তরাত্মা পশুত্বের প্রভাবমুক্ত হয়ে ঈমানি আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। এতে বান্দার গোনাহ মাফ হয়, শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে এমনকি এ উসিলায় আল্লাহ তাআলা কবরের আজাব থেকে রক্ষা করেন। ওজুর মাধ্যমে মানুষ পবিত্রতা অর্জন করে থাকে। ওজুর ফজিলত বর্ণনা রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ হাদিস রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-

>> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম বান্দা যখন ওজুর সময় মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার চোখ দিয়ে অর্জিত গোনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায়।

যখন সে হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের স্পর্শের মাধ্যমে অর্জিত সব গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায়।

অপর ওজুকারী যখন দু’পা ধৌত করে তখন তাঁর দু’পা দিয়ে হাঁটার মাধ্যমে অর্জিত গোনাহসমূহ ওজুর পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যায়। এভাবে সে যাবতীয় গোনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায়। (মুসলিম, তিরমিজি, বাইহাকি)

পরিশেষে...
গোনাহ মাফে ওজুর গুরুত্ব বর্ণনায় ছোট্ট একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই। হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণি তিনি বলেন, ওজু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওজু করে তাহলে তার শরীরের সমস্ত গোনাহ ঝরে যায়। এমনকি তার নখের নীচের গোনাহ বের হয়ে যায়। (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি কাজে ও অবসরে উত্তমরূপে ওজু করার মাধ্যমে গোনাহ মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।