আল্লাহর বিধান অমান্যকারীদের অবস্থা বর্ণনা


প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ১৭ মে ২০১৬

আহলে কিতাবের অনেকেই এবং অবিশ্বাসীরা কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার মৌলিক বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। তারা এ বিশ্বাস লালন করছিল যে, শাস্তি ও প্রতিদান যা কিছু পাওয়ার তা এ পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ। এমনকি তারা এ বিশ্বাসও করতো যে তাদেরকে বেশিদিন শাস্তি ভোগ করতে হবে না বা তাদের জন্য সুপারিশকারী ও সাহায্যকারী থাকবে। আল্লাহ তাআলা ইয়াহুদি ও অবিশ্বাসীদের অমূলক চিন্তা-ভাবনায় সুস্পষ্ট ঘোষণা দিলেন যে, তোমাদের সকল চিন্তা-ভাবনা নিছক কল্পনা প্রসূত। আল্লাহ বলেন-

Quran

‘আর সে দিনকে ভয় কর, যে দিন কেউ কারো কোনো কাজে আসবে না, কারোর থেকে ফিদিয়া বা বিনিময় গ্রহণ করা হবে না, কোনো সুপারিশ মানুষের জন্য লাভজনক হবে না এবং অপরাধীরা কোথাও কোনো সাহায্য পাবে না।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২৩)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঐ সকল আহলে কিতাবের অনুসারী এবং অবিশ্বাসীদের হুশিয়ার করে দেন, যারা তাঁর দেয়া সকল নিয়ামাতের অস্বীকার করেছে। দুনিয়াতে এক সময় বনি ইসরাইলকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মর্যাদা দান করার পরও তারা আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করেছে। তাদের নাফরমানি ফলই হবে পরকালে তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী না থাকা।

আল্লাহ তাআলা তাদেরকে (আহলে কিতাব ও অবিশ্বাসীদের) সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, আল্লাহ তাআলা যেমন উদার ও দয়াবান তেমনি অত্যন্ত কঠোরও। তাই পরকালের বিষয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করা জরুরি। যেদিন অবিশ্বাসীদের জন্য কোনো সুপারিশকারী থাকবে না। কোনো ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে না। এমনকি কোনো সাহায্যকারীও থাকবে না।

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলার এ আয়াত সমগ্র জাতির জন্য মহান শিক্ষা। যারা আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়ে তাঁর বিধানের পরিপন্থী কাজ করবে, তারা ইয়াহুদি-খ্রিস্টান ও অবিশ্বাসীদের মতো পরিণতি ভোগ করবে। তাদের জন্য কোনো সুপারিশকারী ও সাহায্যকারী থাকবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পরকালের জিন্দেগির সফলতার জন্য তাঁর বিধি-বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।