আরবের মুশরিকদের সঙ্গে পূর্ববর্তীদের সামঞ্জস্যতা


প্রকাশিত: ০৭:০২ এএম, ০৯ মে ২০১৬

আরবের মুশরিকদের মধ্যে কেউ কেউ ইয়াহুদিদের মতো দাবি করেছিল যে, আল্লাহ তাআলা তাদের সঙ্গে কথা বলা বা তাদের জন্য নির্দশন প্রেরণ করেন না কেন? যা দেখে তারা মুসলিম হয়ে যাওয়ার আকঙ্ক্ষা প্রকাশ করতো। তাদের আকাঙক্ষায় আল্লাহ তাআলা বলেন, আজকের পথভ্রষ্টরা এমন কোনো দাবি বা অভিযোগ উত্থাপন করেনি যা এর আগের পথভ্রষ্টরা করেনি। তাদের ও পূর্ববর্তীদের কথা উল্লেখপূর্বক আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran-Inner

‘এবং অজ্ঞ লোকেরা বলে আল্লাহ নিজে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না কেন অথবা কোনো নির্দশন আমাদের কাছে আসে না কেন। এর আগের লোকেরাও এমনিভাবে কথা বলতো। এদের সবার (আগে ও পরে পথভ্রষ্টদের) মানসিকতা একই রকমের। দৃঢ় বিশ্বাসীদের জন্য আমার নির্দশনসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছি।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১৮)

এ আয়াত অবতীর্ণের ব্যাপারে হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাফে ইবনে হুরাইমালা নামক এক লোক যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি যদি সত্য সত্যই আল্লাহর রাসুল হন তবে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে স্বয়ং বলেন না কেন? তাহলে আমরা স্বয়ং তার কথা শুনতে পাই।’ তখন এ আয়াত নাজিল হয়।

অর্থাৎ যখনই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কোনো নিদর্শন আসতো, তখনই তারা বলতো, আমরা মানবো না যতক্ষণ না সে নিদর্শন আমাদের দেয়া হয়, যা রাসুলগণকে দেয়া হয়েছে।

কেউ কেউ বলেছেন, ‘তারা (অবিশ্বাসীরা) বলে, আমরা কখনো আপনার উপর মানবো না, যে পর্যন্ত না আপনি আমাদের জন্য ঝরনা প্রবাহিত করেন।

আরবের মুশরিকরা ইয়াহুদি-খ্রিস্টানদের অনুকরণে শুধুমাত্র অহংকার ও অবাধ্যতার বশবর্তী হয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এ সব জিনিস চেয়েছিলেন। যা তাদের পূর্ববর্তীদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবিশ্বাসী, মুশরিক, ইয়াহুদি ও মুনাফিকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য না করে কুরআন-হাদিস অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।