অত্যাচার মারাত্মক অপরাধ


প্রকাশিত: ০৫:০১ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬

আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদাত-বন্দেগি করার জন্য। তাই দুনিয়ার সকল কাজ যাতে তাঁর ইবাদাতে পরিণত হয়, সে জন্য তিনি পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন নবি-রাসুল ও আসমানি কিতাব। যার মাধ্যমে মানুষ নিজেদেরকে সংশোধন করে তাঁর আনুগত্য করবে। যদি কোনো ব্যক্তি কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ অমান্য করে দুনিয়ার জীবনে কারো প্রতি অত্যাচার করে তবে এর পরিণাম মারাত্মক ভয়াবহ। অত্যাচারিত ব্যক্তির ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সতর্কতা মূলক একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-

Hadith-Inner

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হজরত মুয়াজকে ইয়ামেন পাঠান, তখন তাকে বলেন, মজলুমের (অত্যাচারিত ব্যক্তির) ফরিয়াদকে ভয় করবে। কারণ মজলুমের ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। (বুখারি)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী শুধু মানুষ নয় কোনো প্রাণীর প্রতিই অত্যাচার করা যাবে না। কেননা বিশ্বনবি ছিলেন সমস্ত আলমের জন্য রহমতস্বরূপ। সুতরাং সৃষ্টির কারো প্রতিই অত্যাচার করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, যার জন্য রচিত হয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যার জন্য জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত। সুতরাং মানুষের সঙ্গে অন্যায় আচরণ তথা অত্যাচার করা মারাত্মক অপরাধ। কারণ অত্যাচারিত ব্যক্তির ফরিয়াদ এবং আল্লাহ তাআলার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার মাজলুমের দোয়া দ্রুত কবুল করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহসহ সমগ্র মানব জাতিকে অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।