দোয়া করার ৯টি আদব
দোয়া বা প্রার্থনা বলতে বুঝায় বিনয়ের সঙ্গে কোনো কিছু চাওয়া। মানুষ যখন কোনো সমস্যায় পড়ে তখনই আল্লাহর সাহায্য কামনা করে। ইহা মুমিন ব্যক্তির জন্য সুন্নাতি গুণও বটে। তাইতো দোয়া বলতে বুঝায় স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য আল্লাহ তাআলার দিকে প্রত্যাবর্তন করা, সকল অন্যায় কাজ ত্যাগ করে তাঁর দরবারে ফরিয়াদ করা।
ইমাম নববি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ওলামায়ে কিরাম এক মত যে, আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করা, প্রার্থনা করা মুস্তাহাব। তবে বিপদের সময় দোয়া করা সুন্নাত। কেননা সকল নবি-রাসুলগণ থেকে দোয়া করার প্রমাণ রয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য দোয়া করার কিছু আদব রয়েছে। যা জানা আবশ্যক। তাই দোয়ার আদব সমূহ তুলে ধরা হলো-
১. হারাম বস্তু পানাহার থেকে বিরত থাকা।
২. দোয়ার পূর্বে কোনো নেক কাজ করা। যেমন- নফল নামাজ, দান-সাদকা, রোজা ইত্যাদি।
৩. একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে দোয়া করা।
৪. অজু অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে বসে দোয়া করা।
৫. আল্লাহর প্রশংসা করার পর দোয়ার শুরুতে এবং শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়া।
৬. বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে হস্তদ্বয় কাঁধ বরাবর উঠানো।
৭. আল্লাহর গুণবাচক উত্তম নাম এবং নবি-রাসুলগণের ওসিলা অবলম্বন করা।
৮. অতি নিম্নস্বরে নিজের গোনাহের কথা স্বীকার করে কবুল হওয়ার পূর্ণ দৃঢ়তা নিয়ে বারবার আল্লাহর নিকট ধরনা দিতে থাকা।
৯. তবে একটি বিষয়ে সবধান থাকতে হবে, যে কোনো গোনাহ কাজ কিংবা অসম্ভব বিষয়ে দোয়া করা ঠিক নয়। যা মারাত্ম অপরাধও বটে।
আল্লাহ তাআলা এ বিষয়গুলো মেনে ইবাদাত-বন্দেগির পাশাপাশি দোয়া করার তাওফিক দান করুন। সর্বোপরি আল্লাহর বিধি-বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে দোয়া করলে সে দোয়া অবশ্যই আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শিরকমুক্ত হয়ে তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস