বিশ্বনবির সঙ্গে শত্রুতার কারণ


প্রকাশিত: ০৫:৩৫ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই শেষ নবি, যার গুণাবলীর কথা তাওরাত ও ইঞ্জিলে উল্লেখিত হয়েছে এবং ইয়াহুদিরা তাদের মুক্তিদাতা হিসেবে তাঁর আগমনের অপেক্ষাও করছিল। কিন্তু তাদের ঈমান না আনার তথা বিশ্বনবির নবুয়তকে অস্বীকার করেছিল এ কারণে যে, নবি তাদের কওমের মধ্য থেকে কেন হল না। যার মূলে ছিল জাগতিক হিংসা বিদ্বেষ। আল্লাহ তাআলা বিষয়টিকে কুরআনে এভাবে তুলে ধরেন-

Quran-Inner

‘তা কত নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা তাদের আত্মাকে বিক্রয় করেছে; তা এই যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তারা অবিশ্বাস করছে শুধু এই হঠকারিতার দরুন যে, আল্লাহ তাঁর দাসদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। সুতরাং তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হলো। আর (কাফের) অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৯০)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম রাজি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ইয়াহুদিরা মনে করতো, তারা ওয়ারিশ সূত্রে নবুয়তের উত্তরাধিকারী, যখন তারা দেখল বনি ইসরাইলের স্থলে বনি ইসমাইলকে নবুয়তের জন্য পছন্দ করা হয়েছে, তখন তারা বিদ্রোহ করতে লাগল। ফলে তারা আল্লাহ তাআলা ক্রোধের পর ক্রোধ (গজব) অর্থাৎ অত্যন্ত ভয়াবহ ক্রোধে (গজবে) পতিত হলো।

কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি হিংসা ও শত্রুতার পরিণামে তারা আল্লাহ তাআলার যে গজবের উপযুক্ত বিবেচিত হয়েছে, তা অত্যন্ত মন্দ।

আল্লাহ তাআলার নাফরমানির শাস্তি হবে অত্যন্ত কঠোর এবং এর পরিণাম হবে অত্যন্ত খারাপ এবং ভয়াবহ। কারণ আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা নবি মনোনীত করেন এবং তাঁর ইচ্ছা মাফিক অবতীর্ণ হয় তাঁর মহান বাণী। এটা নিতান্তই আল্লাহ তাআলার মর্জি।

হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ এবং শ্রেষ্ঠ রাসুল নিজের ইচ্ছাতে স্বঘোষণায় হননি। বরং আল্লাহ তাআলা তাঁকে মনোনীত করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু অভিশপ্ত ইয়াহুদি জাতি এ সত্যকে মেনে নিতে পারেনি, তাই তারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে শত্রুতা করে। ফলে তাদের শোচনীয় পরিণামের কথা এ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের ওপর বিনা শর্তে ঈমান আনয়নপূর্বক আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।