আল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন
আল্লাহ তাআলার সীমাহীন ভালোবাসার সৃষ্টি হলো মানুষ। তাই তিনি মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। কুরআনের অনেক আয়াতে তিনি মানুষকে ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেছেন। মানুষকে ভালাবাসার, ক্ষমা করার, দয়া দেখানোর পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ ও রাসুল প্রেমিকগণই এ ভালোবাসা উপলব্দি করতে পারেন।
আল্লাহ যেমন মানুষকে ভালোবাসেন, তেমনি আল্লাহর ভালোবাসা লাভে মানুষের প্রতি তিনিই করণীয় ঠিক করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে ভালোবাসতে হলে কি করতে হবে।
আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা প্রকৃতই আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো। তাহলেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা ইমরান : আয়াত ৩১)
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে ভালোবাসার স্বরূপ বর্ণনা করে বলেন, ‘আর আপনার প্রতি আল্লাহর দয়া থাকার দরুন আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলেন; কিন্তু আপনি যদি রুক্ষ মেজাজ ও কঠিন অন্তরের লোক হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে যেত। সুতরাং আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আর কাজ-কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন। আর যখন কোনো সংকল্প করেন তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাঁর উপর নির্ভরশীলদের ভালোবাসেন। (সুরা ইমরান : ১৫৯)
আল্লাহ তাআলা যে সকল মানুষকে ভালোবাসেন, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাদের বর্ণনা করেছেন। যেমন- সুরা সফ : আয়াত ৪, সুরা ইমরান : আয়াত ৭৬; ১৩৪; ১৪৬, সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৮; ১৬৫; ২২২, সুরা মুমতাহিনা : আয়াত ৮, সুরা মায়িদা : আয়াত ৫৪।
সুতরাং আল্লাহর ভালোবাসা লাভে তাঁর দেখানো পথে চলা মুসলিম উম্মাহর জন্য আবশ্যকীয় কাজ। তিনি সবাইকে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। খাঁটি মুমিন হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস