রহমতের বার্তাবাহী মাস রজব


প্রকাশিত: ১০:৩২ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৬

আজ রজব মাসের প্রথম দিন। যা আরবি হিজরি সালের সপ্তম মাস। মহিমান্বিত রজব মাস আশহুরে হুরুমের অন্তর্গত। মহাসম্মানিত চারটি মাসের মধ্যে রজব মাসও একটি। আল্লাহ তায়ালা মাখলুকাতের প্রতি অনুগ্রহ করে বিশেষ বিশেষ দিন, রাত ও মাসকে ফজিলত ও বরকতপূর্ণ করেছেন। এ দিন, রাত, মাসের ইবাদতে অনেক ছাওয়াবের ঘোষণাও দিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত এ সব দিন, রাত, মাসের ফজিলত ও বরকত লাভে সচেষ্ট হওয়া। রহমতের বার্তা নিয়ে আসা রজব মাসের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-

কুরআনে যে চারটি মাসকে সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, রজব মাস তার একটি। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলার বিধান ও গণনায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সুরা তাওবা : আয়াত ৩৬) সুতরাং আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক এ মাসের কোনো প্রকার অত্যাচর-জুলুম-নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ করার কোনো সুযোগ নেই।

হযরত আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বার মাসে বছর। তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক, আর তা হচ্ছে- জিলক্বদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হল- রজব, যা জমাদিউস সানি ও শাবান মাসের মর্ধবর্তী মাস। (বুখারি) সুতরাং রজব মাসের ফজিলত বুঝার জন্য উল্লেখিত কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের তাগিদই যথেষ্ট।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসে আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌছে দিন।’

আল্লাহ তাআলা রজব মাসে আমাদেরকে সময়ের মূল্য বুঝার, সময়কে কাজে লাগাবার এবং বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মাস, দিন, রাতগুলোকে যথাযথ মূল্যায়ন করার তাওফিক করুন এবং গোনাহের কাজ থেকে বিরত থেকে রমজানের ইবাদাত-বন্দেগির জন্য নিজেদেরকে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।