ইয়াহুদিদের বিধান পালনের নমুনা


প্রকাশিত: ০৭:৫৯ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৬

আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণের উম্মতের থেকে কল্যাণের বিনিময়ে অসংখ্য ওয়াদা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাদের খুব কম সংখ্যক ব্যতিত অধিকাংশিই সে ওয়াদা ভঙ্গ করেছিল। আবার আল্লাহ তাআলা যা করতে নির্দেশ দিতেন, তারা উল্টোটি করতো। এ বিষয়গুলো মদিনার ইয়াহুদিদের স্মরণ করে দিতে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran

হে ইয়াহুদি সমাজ! তোমরা নিজেদের অবস্থা স্মরণ করে দেখ, যখন আমি তোমাদের নিকট থেকে (এই মর্মে) ওয়াদা নিয়েছিলাম যে, তোমরা পরস্পর রক্তপাত ঘটাবে না ও নিজেদের লোকজনকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করবে না। অতপর তোমরা তা অস্বীকার করছিলে,  আর  এ বিষয়ে তোমরাই তার সাক্ষী।

তারপর (সেই তোমরাই তো) এক অপরকে হত্যা করেছ এবং তোমাদের এক দলকে (তাদের) আপন গৃহ হতে বহিষ্কার করে দিচ্ছ। তোমরা তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে পরস্পরের সহযোগিতা করছ এবং তারা যখন বন্দীরূপে তোমাদের কাছে উপস্থিত হচ্ছে, তখন তোমরা মুক্তিপণ দিয়ে তাদেরকে মুক্ত করছ, অথচ তাদের বহিষ্করণও তোমাদের জন্য অবৈধ ছিল। তবে কি তোমরা ধর্মগ্রন্থের কিছু অংশে বিশ্বাস কর আর কিছু অংশে অবিশ্বাস কর? অতএব তোমাদের সে সব লোক এমন কাজ করে, তাদের  প্রতিফল পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনাভোগ ছাড়া আর কি হতে পারে? আর কিয়ামাতের (শেষ বিচারের) দিন কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা যা করে আল্লাহ সে ব্যাপারে অনবহিত নন।

এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে, অতএব তাদের দণ্ড লঘু হবে না ও তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৮৪-৮৬)

আলোচ্য আয়াতে যদিও বনি ইসরাইলিদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশে পালনের নমুনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত তা মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাও বটে।

তাওরাতে বনি ইসরাইলিদের প্রতি তিনটি নির্দেশ দেয়া হয়েছিল-
১. পরস্পর রক্তারক্তি না করা; ২. কাউকে দেশত্যাগে বাধ্য না করা; ৩. আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ যদি কারও হাতে বন্দি হয় তবে তাকে মুক্ত করা।

তাঁরা এ তিনটি শর্তের মধ্য থেকে প্রথম দুটি পালন না শেষটি পালন করতো। অর্থাৎ যদি কেউ বন্দি হতো তাদেরকে মুক্ত করতো। এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানকে এ শিক্ষায় দিচ্ছেন যে, আংশিক নয়, আল্লাহর বিধান মানতে হবে পরিপূর্ণভাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইয়াহুদি রীতি-নীতির অনুসরণকে পরিহার করে কুরআনের আলোয় জীবনকে পরিপূর্ণভাবে আলোকিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।