মানুষের সঙ্গে কথা বলার ধরন


প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৬

আল্লাহ তাআলা কুরআনে সকল যুগের মানুষের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, সবাই তাঁর ইবাদাত করবে। তার পর সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব পালন করবে এবং মানুষের সাথে ভাব বিনিময় করবে উত্তম কথার দ্বারা। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী মানুষের সাথে উত্তম ভাষায় কথা বলাও আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। কথা বলার ধরন কেমন হবে তার সংক্ষিপ্ত রূপ তুলে ধরা হলো-

হজরত সুফিয়ান সাওরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘মানুষের সাথে উত্তম কথা বলার মানে হচ্ছে, ‘মানুষকে ভালো কথা বলতে থাক, মন্দ কথা থেকে বিরত রাখ, পরস্পর বিনম্র ব্যবহার কর, বিনম্র ভাষায় কথা বল। (তাফসিরে ইবনে আব্বাস)

আবার কেউ কেউ উত্তম কথা বলা দ্বারা ঐ কথাকে বুঝিয়েছেন, যে কথার দ্বারা সাওয়াব হয়।

সুতরাং কথা বলার সময় চারিট বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. মানুষকে অবশ্যই ভালো কথা বলতে হবে।
২. ভালো কথাও ভালোভাবে বলতে হবে।
৩. ভালো কথা ভালো উদ্দেশ্যে বলতে হবে।
৪. ভালো কথা বিনম্র ভাষায় বলতে হবে। কেননা

আল্লাহ তাআলা ফিরাউনের সঙ্গে উত্তম ভাবে কথা বলার জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে তাঁর ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে অনেক শ্রুতি মধুর করে পাঠিয়েছিলেন। এবং বিনম্রভাবে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘তোমরা উভয়েই ফিরউনের সাথে বিনম্রভাবে কথা বলবে।’ আর আল্লাহর বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে উত্তম কথার বিকল্প নাই।

পরিশেষে...
মানুষ দ্বীন ও দুনিয়ার বিভিন্ন প্রয়োজনে পরস্পরের সহিত কথা-বার্তা বা ভাব বিনিময় করে থাকে। সুতরাং মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের শিখানো পদ্ধতিতে কথা বলে আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। কথার গোনাহ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।