অবাধ্যতায় নয়, আনুগত্যেই মুক্তি


প্রকাশিত: ০৬:০৮ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৬

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তকালীন সময়ে যে সব বনি ইসরাইলিরা জীবিত ছিল তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা তাদের পূর্বসূরীদের কথা তুলে ধরেছেন। তাদের কাছ থেকে আল্লাহ তাআলা এ মর্মে ওয়াদা গ্রহণ করেছিলেন যে, তারা আল্লাহ তাআলার বিধানের অবাধ্যতা করবে না। আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা সে কথাই তুলে ধরেছেন-

Quran

এবং যখন বনি ইসরাইল থেকে আমি ওয়াদা গ্রহণ করলাম যে, তোমরা আল্লাহ তাআলা ব্যতিত আর কারো বন্দেগি করবে না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম-মিসকিনদের সাথে সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সঙ্গে ভালো কথা বলবে, নামাজ কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে কিন্তু তবুও তোমাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক লোক ব্যতিত সকলে সে অঙ্গীকার থেকে বিমুখ হলে, আর ওয়াদা থেকে ফিরে যাওয়া তোমাদের চিরন্তন নীতি। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৮৩)

এ আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদের বন্দেগি করার পাশাপাশি তাদের বুনিয়াদি ইবাদাত-বন্দেগির দিক নির্দেশনা রয়েছে। এ দিক-নির্দেশনা যে শুধু তাদের (বনি ইসরাইলিদের) জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। বরং যুগে যুগে সমগ্র মানব জাতির প্রতি ছিল এ ঘোষণা।

আল্লাহ তাআলা সুরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতে বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনার পূর্বে যত রাসুল এসেছে, সকলের প্রতিই একথার ঘোষণা করার নির্দেশ রয়েছে যে, আমি আল্লাহ ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, সকলে যেন শুধুমাত্র আমারই ইবাদাত করে।’

আল্লাহ তাআলা সুরা নহলের ৩৬নং আয়াতে সতর্কবার্তা দিয়ে আরো বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতে রাসুল প্রেরণ করেছি এ ঘোষণা নিয়ে যে, এক আল্লাহর ইবাদাত কর, আল্লাহ ব্যতিত সকল বাতিল উপাস্যদের থেকে দূরে থাকো। অতপর তাদের কতেককে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেন এবং তাদের কতেকের উপর ভ্রষ্টতা অবধারিত হয়। সুতরাং তোমরা পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখ, যারা সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তাদের পরিণাম ফল কি হয়েছে।

অবশেষে আল্লাহ তাআলা অবাধ্যকারী বান্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কিভাবে তোমরা আল্লাহ তাআলার নাফরমানি কর অথচ তোমাদের (উল্লেখ করার মতো) কোনো অস্তিত্ব ছিল না, অতপর আল্লাহ তোমাদের জীবন দান করেছেন, তারপর তিনিই তোমাদের মৃত্যুমুখে পতিত করবেন, পুনরায় তোমাদেরকে তিনি জীবিত করবেন। পরে (সর্বশেষ) তোমরা তাঁর নিকটই প্রত্যাবর্তন করবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৮)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বনি ইসরাইলিদের মতো অবাধ্য জাতির কলংক থেকে মুক্ত করে তাঁর বিধি-বিধান পালনকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।