বিয়ের আবশ্যকতা


প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৬

বিয়ে হচ্ছে পারিবারিক জীবনে বৈধভাবে বসবাসে ইসলামি শরিয়তের একটি বন্ধন। যারা দ্বারা যুবক-যুবতির পরিচয় স্বামী-স্ত্রী রূপে প্রকাশ পায় এবং পরস্পরের সঙ্গে চলাফেরা হালাল হয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনে বিয়ের আবশ্যকতা অত্যাধিক। যা তুলে ধরা হলো-

১. বিয়ে সৎ পরিবেশ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ এবং পারিবারিক বন্ধনকে মজবুত করার বৈধ পন্থা। আর জীবনকে পূত-পবিত্র ও হারাম কাজে পতিত হওয়া থেকে হিফাজত করে। বিয়ের মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনে আসে প্রশান্তি। পরস্পরের মধ্যে সৃষ্টি হয় ভালোবাসা, প্রণয়, মিল-মহব্বত সর্বোপরি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিস্তার লাভ করে প্রফুল্লতা।
২. বৈধ ও সৎ বংশ বৃদ্ধির সর্বোত্তম পন্থা হলো বিয়ে। যার মাধ্যমে গড়ে ওঠে পরিবার, সমাজ, পারস্পরিক পরিচিতি, সাহায্য-সহযোগিতা ও বন্ধুত।
৩. বৈধ উপায়ে নিরাপদ ও উত্তম যৌন চাহিদা পূরণের এক উত্তম পন্থা হচ্ছে বিয়ে। কুলুসমুক্ত জীবন লাভের পাশাপাশি মারাত্মক ধরণের ব্যধি ও বালা-মুসিবত থেকেও হিফাজত থাকা যায়।
৪. বিয়ের মাধ্যমে সৎ পরিবার গঠন হয়, যা সুন্দর, সৎ ও উত্তম সমাজের জন্য একটি ভাল বীজ স্বরূপ। স্বামী কষ্ট করে উপার্জন করে, খরচ ও ভরণ পোষণ করে আর স্ত্রী সন্তানদের প্রতিপালন, সংসার পরিচালনা ও জীবিকা নিয়ন্ত্রণ এবং সম্ভব হলে সংসারের সহযোগিতায় সমাজে সহাবস্থান নিশ্চিত করে চাকরি-বাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা দ্বারা সুসংগঠিত সমাজের অবস্থা।
৫. পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব লাভের পরিতৃপ্তিও আসে বিয়ে মাধ্যমে। যে তৃপ্তি সন্তান লাভের পর বাবা-মায়ের মধ্যে বৃদ্ধি পায়।

পরিশেষে...
উত্তম, কল্যাণকর, শান্তিময়, সৎ সংসার জীবনের প্রয়োজনে বিয়ের আবশ্যকতা অত্যধিক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিয়ের আবশ্যকতা উপলব্দি করার এবং বিয়ে পরবর্তী সুন্দর সমাজ গঠনে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।