জনকল্যাণে ইতিবাচক মানসিকতা পূর্বশর্ত


প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৬

মানুষের জীবনে সকল কাজ-কর্মের গ্রহণযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্বশর্তই হচ্ছে ইতিবাচক মানসিকতা। যা স্থির সিদ্ধান্ত বা নিয়তের উপর নির্ভরশীল। মানুষ যদি সৎ উদেশ্যে সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করতে চায় তবে প্রথমেই তার নিয়তের পরিশুদ্ধতার সাথে সাথে সৎকর্মের পূর্ণ আন্তরিকতা একান্ত আবশ্যক। ইতিবাচক মানসিকতায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ হাদিস।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত দয়ালু। কারণ, যে ব্যক্তি শুধু একটি সৎ কাজের ইচ্ছা পোষণ করে তার জন্য একটি নেকি লেখা হয়। কাজটি কর্মে পরিণত করুক আর নাই করুক। অতপর যখন সে ব্যক্তি কাজটি সম্পাদন করে তখন তার আমল নামায় ১০টি নেকি লিখে দেয়া হয়।’ সুতরাং অন্তরের সংকল্প ও স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণও মানুষের জন্য ইহ ও পরকালীন জীবনে কল্যাণে ভরপুর।

প্রত্যেক কাজের জন্যই স্থির সিদ্ধান্ত ও নিয়তের প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। এ ব্যাপরে জগৎ বিখ্যাত হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা রয়েছে- হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সকল কর্মই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক মানুষের জন্য তাই রয়েছে যা সে নিয়ত করে। অতএব যার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উদেশ্যে হবে, তাঁর হিজরত আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্যই (পরিগণিত) হবে। আর যার হিজরত দুনিয়া লাভ কিংবা কোনো নারীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হবে, তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই গণ্য হবে, যে উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে। (বুখারি ও মুসলিম)

উপরোল্লিখিত হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কোনো মানুষ যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রতম কোনো কাজও করে, সে আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন করবে।

পক্ষান্তরে কোনো মানুষ যদি দুনিয়ার উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করে থাকে তবে সে তাই পাবে যা সে পাওয়ার নিয়ত বা ইচ্ছা পোষণ করেছে।

সুতরাং মানুষ যদি কোনো জনকল্যাণ কাজ বা সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করতে চায়, তার জন্য নিয়ত তথা স্থির সিদ্ধান্ত এবং ইতিবাচক মানসিকতা প্রয়োজন। যা ব্যতিত কোনোভাবেই কর্মের সফলতা লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ প্রত্যেকটি ভালো কাজের জন্যই রয়েছে দুনিয়ার কল্যাণ এবং আখিরাতের কামিয়াবী অর্জনে চূড়ান্ত ফয়সালা।

যা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান শিক্ষা। তাই দুনিয়াতে যে কাজই করবো, তা যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নৈকট্য অর্জন এবং পরকালীন জীবনে সফলতা ও উত্তম প্রতিদান লাভের নিয়তে হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল ভালো কাজে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি, স্থির সিদ্ধান্ত এবং পরিশুদ্ধ নিয়ত করে সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।