ঝড়ো-বাতাসে করণীয়


প্রকাশিত: ০৮:০৫ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৬

মানুষের জীবন বাচানোর সবচেয়ে বড় উপকরণ হচ্ছে বাতাস। এটা ছাড়া কোনো প্রাণী সামান্য সময়ও বেঁচে থাকতে পারে না। তবে এ বাতাস যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে তখন মানুষের জান ও মালের প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মুহূর্তের মধ্যে শহর-নগর-বন্দর মিসমার হয়ে যায়। তাই বাতাস যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেতো। ফলে তিনি এর ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। হাদিসে এসেছে-

Jar-Batas-Inner

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, কখনো ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু`হাটু পেতে বসে যেতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! একে করুণাস্বরূপ করো, শাস্তিস্বরূপ করো না। হে আল্লাহ! একে মৃদু বাতাসে পরিণত করো, ঝড় তুফানে পরিণত করো না। হজরত ইবনে  আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহ তাআলার কিতাবে আছে যে, আমি তাদের প্রতি (শাস্তিস্বরূপ) প্রবল বাতাসকে পাঠালাম, আমি তাদের প্রতি (শাস্তিস্বরূপ) বন্ধ্যা বাতাসকে পাঠালাম। আমি তাদের প্রতি (অনুগ্রহস্বরূপ) গর্ভিনী ও ফলদায়িনী বাতাস পাঠালাম এবং তিনি (আল্লাহ) সুসংবাদ বহনকারী বাতাস পাঠালেন। (শাফেয়ি, বয়হাকি, মিশকাত)

সুতরাং বাতাস মানুষের যেমন উপকারে আসে। আবার ক্ষতিও করে থাকে। তাই কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ঝড়ো বাতাস থেকে হিফাজত থাকতে হাদিসের উপর আমল করা প্রত্যেকের ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলার নিকট প্রবল ঝড়ো বাতাসের সময় কল্যাণ কামনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।