ইয়াহুদি আম জনতার চিন্তা বিশ্বাস


প্রকাশিত: ০৫:৩৮ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৬

কুরআনুল কারিমের সুরা বাক্বারার ৭৫ থেকে ৭৭নং আয়াতে ইয়াহুদিরে মধ্যে যারা শিক্ষিত ছিল, তাদের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যারা বুঝে শুণে তাওরাতের বাণী পরিবর্তণ করে দিতো। উল্লেখিত আয়াতদ্বয়ে তাদের নিরক্ষরদের ব্যাপারে আলোচিত হয়েছে যে, ইয়াহুদিদের মধ্যে যারা মুর্খ ছিল, তাদেরতো খবরই ছিল না তাওরাতে কি লেখা আছে? তাদের ছিল শুধুমাত্র কিছু মিথ্যা আশা, যা তাদের পণ্ডিতদের নিকট থেকে তারা শুনতো। তাদের কথা কুরআনে এভাবে এসেছে-

Quran-Inner

তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৭৮)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা নিরক্ষর ইয়াহুদিদের জানিয়ে দেন যে, তাদের শিক্ষিত ইয়াহুদিরা তাদেরকে যে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছে, তা মূলত তাদের সাথে চরম প্রতারণা।

ইয়াহুদিদের মিথ্যা আশ্বাসগুলো হলো- জান্নাতে ইয়াহুদি ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করবে না। তাদের পূর্বপুরুষগণ অবশ্যই তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। তারা আল্লাহর প্রিয়জনদের সন্তান সুতরাং তাদের কিসের চিন্তা ইত্যাদি। মূলত এসবই ছিল তাদের অমূলক কল্পনা। এই ছিল সাধারণ নিরক্ষর ইয়াহুদিদের অবস্থা।

সতর্কবাণী
এ রকম অমূলক চিন্তাভাবনা মুসলিম মিল্লাতের মাঝেও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। যারা নামাজ-রোজা-হজ-যাকাত তথা সত্য-মিথ্যার পরোয়া করে না। তারা মনে করে তাদের ধর্মীয় গুরু তাদের জন্য পরকালে নাজাতের ফয়সালা করবেন। যা ইসলামের নামে মারাত্মক প্রতারণা।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইয়াহুদি নিরক্ষরদের মতো অমূলক কল্পনা প্রসূত চিন্তাভাবনা থেকে হিফাজত করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।