আত্মসচেতনতা লাভের উপদেশ
সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহ তাআলা মানুষকে জ্ঞান ও চেতনার দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আবার আল্লাহ তাআলা কুরআনে চেতনাহীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আলোচনাও করেছেন। তাইতো চেতনাহীন মানুষকে চেতনাবোধে জাগ্রত করতে আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখগণ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে নিরলস পরিশ্রম করে নিয়োজিত। সমকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ইসলামিক চিন্তাবিদ ইমাম গাজ্জালি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি মানুষকে দ্বীন এবং ইমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য অনেক উপদেশ দিয়েছেন। তার থেকে কিছু তুলে ধরা হলো-
ক. তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে দেয়-
১. লোভ
২. হিংসা ও
৩. অহংকার।’
খ. তিনটি অভ্যাস মানুষের কল্যাণ ডেকে আনে-
১. আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা,
২. বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া
৩. যে কোনো সংকটে ধৈর্য ধারণ করা।
গ. ‘মন এবং জবান’কে নিয়ন্ত্রণ করে মানব জীবনের কৃতিত্ব লাভ করা।
ঘ• দুই ধরনের লোক কখনও তৃপ্ত হতে পারে না-
১. জ্ঞানের অম্বেষী, সুতরাং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক।
২. সম্পদের লোভ, যা মানুষকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। সুতরাং সম্পদের লোভ থেকে বিরত থাকা।
ঙ• আয়নায় নিজের চেহারা দেখা- সুদর্শন হলে, পাপের কালিমা লেপন করে আমলনামা ধ্বংস না করা। আর যদি কালো-কুশ্রী (পাপিষ্ট) হলে, পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা।
চ• আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা মুখে উচ্চারিত না হওয়া।
ছ• ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়। রাগমুক্ত জীবন গঠন করা।
জ• কঠোরতা পরিহার করা। শক্ত কথায় রেশমের মতো নরম অন্তরও পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়।
ঝ• অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করা।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী সঠিক পথে থাকার এবং উত্তম উপদেশাবলী মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস